অক্টোবরে ইলিশ আহরণ বন্ধে বৈঠক ২০ সেপ্টেম্বর
উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে অক্টোবরে ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। তবে, অক্টোবরের কোনদিন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে তা নির্ধারণে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসবে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, অন্য বছরের ন্যায় এবারও ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ২২ দিন আহরণ বন্ধ থাকবে। এবারও অক্টোবরে সেটি শুরু হবে। তবে অক্টোবরের কোনদিন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে সেটি নির্ধারণে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর বৈঠকে বসবে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটি। সেখানে বিজ্ঞানীদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে, ১৫ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গত বছর ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকা সময়ে সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় বরফকল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচাররোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা-উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। মাছ ধরা বন্ধকালে যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধিত জেলেদের নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা-ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে।
ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট, ১৯৫০’ এর অধীন প্রণীত ‘প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ রুলস, ১৯৮৫’ অনুযায়ী এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারী কমপক্ষে এক থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস