গুজব প্রতিহতে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ
দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশ ও সরকার সম্পর্কে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে- তা প্রতিহত করতে ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি মন্ত্রণালয়কে এ নির্দেশনা দিয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির ৩৫তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের জামানত দ্বিগুণ করে বিল পাস
কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কেআব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, মো. আব্দুল মজিদ খান এবং মো. হাবিবে মিল্লাত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকের শুরুতে বিগত ৩৪তম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয়। একই সঙ্গে আগে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি সার্বিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ব্রিকস সম্মেলন- ২০২৩ এ অংশগ্রহণের ওপর বৈঠকে রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, ‘ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ অ্যান্ড ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ’ সভায় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: জামালপুরের ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদে ইসির চিঠি
চলতি সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের ওপর সারসংক্ষেপ বৈঠকে আলোচনা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচারণার উত্তর দেওয়ার জন্য কমিটি আগেই মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল। ওই সুপারিশের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এতে বলা হয়- যেসব দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহ সংশ্লিষ্ট দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেসব অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও যৌক্তিক জবাব দিতে সদা তৎপর। অপপ্রচার মোকাবিলা করার জন্য এবং বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম চলমান আছে। অপপ্রচার প্রতিরোধে তারা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন, টুইটারে জবাব দিচ্ছে বলেও জানানো হয়।
তবে কমিটি বলেছে, যে পরিমাণ গুজব সরকারের বিরুদ্ধে রটানো হচ্ছে, অসত্য কথা বলা হচ্ছে- তাদের সেই পরিমাণ জবাব দিতে দেখা যাচ্ছে না। পরে সংসদীয় কমিটি বলে, আমাদের দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়াও আরও কিছু মন্ত্রণালয় গুজবের জবাব দিয়ে থাকে। সেগুলো খুঁজে দেখে ওই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে যেসব গুজব এবং মিথ্যা তথ্য রটানো হচ্ছে তার জবাব দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি। একই সঙ্গে বলেছি তাদের (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) যদি জনবলের অভাব থাকে তাহলে অন্যান্য যেসব মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আইএইচআর/কেএসআর/জিকেএস