পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বরিশালে যাত্রী পাচ্ছে না বিমান
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বরিশালে বিমানের ফ্লাইট সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এর আগে বিকেল ৪টায় স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আকাশপথে বরিশাল বিভাগে যাতায়াতের জন্য একমাত্র বিমানবন্দর হলো বরিশাল বিমানবন্দর। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এ বিমানবন্দরের ফ্লাইট সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। আগে যেখানে দৈনিক ২৮টি ফ্লাইট পরিচালিত হতো সেখানে বর্তমানে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।
বরিশাল বিমানবন্দর ফ্লাইট পরিচালনার উপযোগী রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বিমানবন্দরে ৬০০০ ফুট রানওয়ে, ৫০০০০ বর্গফুট টেক্সিওয়ে, ৮৫০০ বর্গফুট টার্মিনাল ভবন ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। বরিশাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান উড্ডয়ন-অবতরণের ক্ষেত্রে স্বল্প ভিজিবিলিটি-রাত্রিকালীন ফ্লাইট পরিচালনার লক্ষ্যে সিম্পল অ্যাপ্রোচ লাইটিং সিস্টেম সংস্থাপন করা হয়েছে। ফলে কোনো এয়ারলাইন্স রাত্রিকালীন ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাইলে তা করতে পারবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমান বহরে নতুন প্রজন্মের ১৯টি প্লেন সংযোজন করা হয়েছে। বিশ্বমানের অন টাইম পারফরমেন্স (ওটিপি) অর্জিত হয়েছে ও তা বজায় রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যাত্রী সেবার মান বাড়াতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অনলাইন টিকিটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিট কেনার কষ্ট লাঘব করা হয়েছে।
টরেন্টো, নারিতা ও গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেন, যাত্রী ও কার্গো পরিবহন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে হ্রাস করা হয়েছে। জনবলের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম। সব ধরনের অনিয়ম রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
আইএইচআর/জেডএইচ/জিকেএস