জনসংখ্যা বাড়লেও দেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই: সংসদে মন্ত্রী
দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি গুদামে ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের জনসংখ্যা যদি বেড়ে ১৭ কোটি ১৮ লাখ হয়, তাহলেও দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেল ৪টায় স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খাদ্যপণ্য ক্রেতার নাগালের বাইরে, মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২.৫৪ শতাংশ
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার আপৎকালীন মজুতের জন্য দেশব্যাপী নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বর্তমানে বোরো-২০২৩ সংগ্রহ মৌসুম চলমান। এ পর্যন্ত এক লাখ ৯৯ হাজার ৬৮৬ মেট্রিক টন ধান এবং ১২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩৮ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিবিএস প্রদত্ত তথ্যমতে আউশ ধান ২৯.০১ লাখ মেট্রিক টন, আমন ধান ১৫৪.২৬ লাখ মেট্রিক টন, বোরো ধান ২০৭.২২ লাখ মেট্রিক টন এবং গম উৎপাদিত হয়েছে ১১.৬০ লাখ মেট্রিক টন। সর্বমোট ৪০২.০৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ লাখ টন চাল, ৬ লাখ টন গম আমদানি করবে সরকার
সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, প্রতিটি মানুষ দৈনিক ৩৫১.৮০ গ্রাম (চাল ৩২৮.৯০ গ্রাম এবং গম ২২.৯০ গ্রাম) খায়। সে হিসাবে ২০২২-২৩ সালে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হয় ২১৮.০৪ লাখ মেট্রিক টন। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের মোট উৎপাদনের চেয়ে কম।
সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে সাধান চন্দ্র মজুমদার জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির হার ১.২২) যদি বেড়ে ১৭ কোটি ১৮ লাখ হয়, তাহলেও দেশে খাদ্য ঘাটতির কোনো আশঙ্কা নেই।
আরও পড়ুন: মিলছে না সংসারের হিসাব
আইএইচআর/বিএ/এমএস