ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চট্টগ্রামে ১৭শ কেজি চা জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১৭শ কেজি অবৈধ চা জব্দ করেছেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন আকারের ২১ বস্তা এবং ১২শ প্যাকেট চা পাওয়া যায়। তাছাড়া অনুমোদনহীন টি টাইম গোল্ড টি ব্রান্ডের অসংখ্যা খালি প্যাকেট জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিএসটিআই লাইসেন্স না থাকা, অবৈধ ট্রেডমার্ক ব্যবহার, চা বোর্ডের লাইসেন্স না থাকা, পঞ্চগড় থেকে চা ক্রয়ের প্রমাণপত্র না পাওয়ায় এস এস ট্রেডিং নামের ওই চা প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির এসব অবৈধ চা জব্দ করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানের সময় এস এস ট্রেডিংয়ের মালিক আবুল হাসান সোহেলকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ২০২১ সাল থেকে তিনি চায়ের ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে অবৈধভাবে এস এস ট্রেডিংয়ের নাম ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মচারী শরীফ অবৈধ চায়ের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ক্রেতা সেজে শরীফের কাছ থেকে চা ক্রয়ের চেষ্টা করা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে সটকে পড়েন তিনি।

tea-1.jpg

বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে চা বোর্ডের বিপণন কর্মকর্তা আহসান হাবিব, সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল বোরহান এবং চান্দগাঁও থানার পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান বিষয়ে মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নামে বেনামে অবৈধ চা মজুদ এবং অনুমোদনহীন প্যাকেটে চা বাজারজাত করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বহদ্দারহাট এলাকার অবৈধ চা প্যাকেজিং কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। একটি ফ্ল্যাটের বড় একটি রুম ভাড়া নিয়ে পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন স্থান থেকে চা সংগ্রহ করে ভুয়া ব্রান্ড বানিয়ে প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল কারখানাটিতে। অভিযানের সময় কারখানা মালিককে না পেয়ে জব্দকৃত মালামাল ফ্ল্যাট মালিকের জিম্মায় রাখা হয়। মূল অভিযুক্তকে কারখানা এবং ব্যবসার স্বপক্ষে কাগজপত্র নিয়ে চা বোর্ডে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসব অনিয়ম বন্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

এমডিআইএইচ/এসটি/এমএস