হাসিনা-মোদী বৈঠকে উঠবে তিস্তা ইস্যু
ভারতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সম্মেলনের ফাঁকে নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। উচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা নদীর হিস্যা আলোচনা করে এসেছি বা রেখেছি। এবারও আশা করছি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি তুলবেন। তিস্তা পানিবণ্টন যে ইস্যুটা আছে, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে তা তুলবেন। পাশাপাশি অন্য ইস্যুও তো আছে আমাদের।’
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জাতিসংঘ পানি সম্মেলন-২০২৩’ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ভারতের ওপর নির্ভর করছে
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে। গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি আছে, সেটাও (আলোচনায়) তোলা হবে। সব বিষয়ে আমাদের যৌথ নদী কমিশন এবং অন্যরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
হাসিনা-মোদীর বৈঠকে আন্তঃরাষ্ট্রীয় নদী নিয়ে আলোচনা হবে কি না এবং আজকের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা আলাদা করে আলোচনা করিনি। কিছুটা সাইডলাইনে বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি।’
চলতি বছরের মার্চে তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে দুটি খাল খননের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছে কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানতে চেয়েছে ঢাকা। প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এ বিষয়ে নয়াদিল্লির কোনো বার্তা পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এখনও পাইনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত আন্তঃসীমান্ত নদী ৫৪টি
আগামীতে পানি সমস্যা সমাধানে আগাম সচেতনতার বার্তা দেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা ভাব আছে যে- আমাদের অনেক পানি আছে, এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। কিন্তু আগামী পাঁচ বছর বা দশ বছর পর হয়তো আমাদের পানি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ আসতে পারে। সেজন্য বৈজ্ঞানিকভাবে আমাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। আমাদের যে পানি আছে, সেটাকে কীভাবে আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়।’
মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট এবং এনগেজমেন্ট আছ, সেটা নিয়ে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারি। রিসোর্স মবিলাইজেশনের ব্যাপার আছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সম্পর্কিত তহবিল আছে, সেটাকে ভালো ব্যবহার করতে পারি। অনেক কাজ আছে সামনে।’
আইএইচআর/কেএসআর/জিকেএস