শাহজালালের নিরাপত্তায় ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই
নিরাপত্তা ত্রুটির অজুহাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পণ্যবাহী কোনো বিমানের সরাসরি যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর, এখন বাংলাদেশের এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি রেড লাইন এভিয়েশন সিকিউরিটি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সোমবার বিকেলে বেবিচক সদর দফতরে দুই বছর মেয়াদি চুক্তিটি সই হয়। বেবিচকের পক্ষে সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নুরুল ইসলাম এবং রেডলাইনের পক্ষে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পল ম্যাসন চুক্তিপত্রে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং বেবিচকের চেয়ারম্যান এম সানাউল হক উপস্থিত ছিলেন।
অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কারণ দেখিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গোফ্লাইট যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার পর তা থেকে উত্তরণে এই কোম্পাটিকে কাজ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মেনন বলেন, মঙ্গলবার থেকে বৃটিশ কোম্পানি কাজ শুরু করবে। তিনি জানান, রেডলাইন বিমান বন্দরে তিন ধরনের কাজ করবে। তারা পরামর্শ দেবে, বিমান বন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তদারক করবে এবং বিমানবন্দরে যে জনবল আছে তাদের পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
গত ৮ মার্চ যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বাণিজ্যিক ক্ষতির মুখে পড়ে এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় সরকার। এরপর যুক্তরাজ্যের পরামর্শ নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের সিদ্ধান্ত হয়।
রোববার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক ডেকে রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটিকে ৭৩ কোটি টাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে শনিবার জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বিষয়টি বিবেচনা করবে তার দেশ।
যুক্তরাজ্য ছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পণ্যবাহী কোনো বিমানের সরাসরি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ারও।
আরএম/এনএফ/এবিএস