ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে ৫০ বছর লাগতে পারে: প্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩

পুরো দেশকে ভূমিকম্প সহনীয় করতে ৫০ বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘সুপার-সমকাল আর্থকোয়েক অ্যান্ড ফায়ার প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন>> সারাদেশে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট থেকে ২৩ কিমি দূরে

এনামুর রহমান বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় এখনো পর্যাপ্ত সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। দেশে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হতে পারে, ৫ লাখ মানুষ হতাহত হতে পারে। ১ লাখ ৭২ হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হতে পারে। জাপানকে ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত করতে ৩০ বছর লেগেছে। সেখানে আমরা চেষ্টা করছি অন্তত ৫০ বছরে হলেও যেন বাংলাদেশ ভূমিকম্প সহনীয় দেশে পরিণত হয়। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ ও ১০০ বছরের বেশি পুরোনো ভবনগুলো পর্যায়ক্রমে ভেঙে ফেলা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিল্ডিং কোড ছাড়া নতুন করে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। জাইকার সহযোগিতায় নতুন করে ভূমিকম্প সহনীয় ভবন নির্মাণ করা হবে।

আরও পড়ুন>> আর্থকোয়েক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যাওয়ার্ড পেলেন জাগো নিউজের মাসুদ

তিনি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর সুফল আমরা পাচ্ছি। এরই মধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে পোশাক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সরকার এরই মধ্যে আটটি জোনে ভাগ করে ঢাকাকে ভূমিকম্প সক্ষমতা তৈরি করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জাইকার সহযোগিতায় ভূমিকম্প সহনীয় ভবনের ওপর সার্ভে করা হয়েছে। জাপান সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।

ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে পুরোনো ভবন ভাঙা হবে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, এ জায়গায় (ঝুঁকি কমাতে) জাপানের সহযোগিতা ও জাইকার কারিগরি সহযোগিতায় নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। এজন্য বেসরকারিভাবে প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধু ভবন নয়, নতুন সব ব্রিজ নির্মাণ করা হবে ভূমিকম্প সহনীয় সক্ষমতায়।

আরও পড়ুন>> ভূমিকম্পে কাঁপলো সারাদেশ

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় আসলে আমাদের খুব বেশি সক্ষমতা নেই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সাফল্যের জন্য আমাদের অর্জন আছে। অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা শতভাগ সফল। আমরা ৪২০ কোটি টাকার উদ্ধার ও অনুসন্ধান কাজের উপকরণ কিনেছি। সেগুলো ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন ও সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।

আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস