আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় করবে জনগণ: সুব্রত
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, জনগণের মুক্তির একমাত্র উপায় কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার করা। সরকার বিরোধী মতের ওপর দমন-পীড়নের নিত্য নতুন অপকৌশল, অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার এ দেশের জনগণ বুঝে গেছে। এ কারণেই এ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১০ থেকে ১১ শতাংশ মানুষও ভোট দিতে যায়নি।
তিনি বলেন, সংগ্রামী জনতা সব অপকৌশল-ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ ভোটাধিকার হরণকারী শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করবে। তাই বজ্রকণ্ঠে বিপ্লবী জনতার একটাই স্লোগান দফা এক দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠাসহ শেখ হাসিনার পদত্যাগের যুগপৎ ধারায় বৃহত্তর গণ-আন্দোলনের এক দফা দাবিতে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৪ টায় গণফোরাম চত্বরে থেকে আরামবাগ-ফকিরাপুল-নয়াপল্টন-কাকরাইল-বিজয়নগর-বক্স কালভার্ট রোড পর্যন্ত গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে গণফোরাম ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সমাবেশে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মো. বাবুল সরদার চাখারী বলেন, এ সরকার জনগণকে সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ে। জনগণ এ স্বৈরাচার সরকারের ভাওতাবাজি আর বিশ্বাস করে না। তাই দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে দেশের জনগণ অংশ নেবে না। ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার একটাই দাবি শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ।
মিছিল শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির মহাসচিব আব্দুল কাদের। আরও বক্তব্য দেন- সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, মির্জা হাসান, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাদের মার্শাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামাল উদ্দিন সুমন, এশেক আলী আশিক, শেখ শহিদুল ইসলাম, রিয়াদ হোসেন, আনোয়ার ইব্রাহীম, নিজাম উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।
কেএইচ/এমএএইচ/জিকেএস