সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর
নতুন মোড়কে ফের চাঙা হওয়ার চেষ্টা পুরোনো জঙ্গিদের
দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৮তম বছর আজ। দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে ভয়াবহ এ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। পরিকল্পিতভাবে দেশব্যাপী এ হামলা চালানো হয়। মুন্সিগঞ্জ ছাড়া দেশের সব জেলার প্রায় পাঁচশ পয়েন্টে এ হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে দুজন নিহত ও আহত হন অন্তত ১০৪ জন। হলি আর্টিসান হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গিদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত থাকলেও নতুন নতুন নাম দিয়ে তারা ফের সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে।
গত বছর নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংগঠনটিকে সম্প্রতি নিষিদ্ধও করেছে সরকার। শারক্বীয়ার বেশিরভাগ সদস্যরা পুরাতন জঙ্গি থেকে নতুনভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। এজন্য তারা সমতল ছেড়ে দুর্গম পাহাড়ে আস্তানা গেঁড়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নেয়। তবে এ সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যই এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেড়াজালে।
জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নিষিদ্ধের রেশ না কাটতেই গত ১২ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্টিউলি গ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে আরেকটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের খবর পায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। সেই জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে ১০ জঙ্গিকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর তিনদিনের মাথায় ১৫ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের দুর্গম কালাপাহাড়ে দ্বিতীয় দফার অভিযানে নতুন জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় সিসিটিসি। নতুন সেই আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সদরদপ্তর ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, সিরিজ বোমা হামলার পরপরই সারাদেশে ১৬১টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি। এসব মামলার মধ্যে বিচারাধীন ৫৯টি। রায় ঘোষিত মামলার সংখ্যা ১০২টি।
আরও পড়ুন>> ইমাম মাহমুদের কথায় সপরিবারে পাহাড়ে ‘হিজরত’
এরপর দেশে সবশেষ বড় জঙ্গি হামলা হয় হলি আর্টিসানে। এরপর জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জঙ্গি সংগঠনগুলোও দুর্বল ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বড় ধরনের কোনো জঙ্গি হামলা চালানোর সক্ষমতা তাদের নেই বলে মনে করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে অতীতে জঙ্গিবাদে জড়িতরা নতুন নামে সংগঠন তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহে এখনো তৎপর।
দেশে নিষিদ্ধ সংগঠন ৯টি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, দেশে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা ও উগ্র ইসলামি সংগঠন হিসেবে আটটি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> কালাপাহাড়ে দ্বিতীয় দফার অভিযানে মিললো জঙ্গিদের নতুন আস্তানা
২০১৭ সালের ১ মার্চ জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ‘আনসার আল ইসলাম’ নিষিদ্ধ করে সরকার। জঙ্গি কার্যক্রমে জড়িত থাকায় এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শাহাদত-ই-আল হিকমা, ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি-বি), ২০০৫ সালের ১৭ অক্টোবর জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি) ও জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিজবুত তাহরির ও ২০১৫ সালের ২৫ মে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ করা হয়।
২০১৫ সালের মে মাসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ হওয়ার পর এর সদস্যরাই সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনাকারী বরখাস্ত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়ার নেতৃত্বে আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। ২০১৭ সালের মার্চে আনসার আল ইসলামকেও সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
জঙ্গি নিয়ে কাজ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, একটি সংগঠন নিষিদ্ধের পর তারা আর কোনো কার্যক্রম চালাতে পারে না। এজন্য নতুন নতুন নামে জঙ্গি সংগঠন তৈরি হচ্ছে। নতুন নাম দিলেও পুরাতন লোকদের নিয়ে জঙ্গিবাদের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জাগো নিউজকে বলেন, গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আবারও দেশকে অস্থিরতা করার চেষ্টা চলছে।
জঙ্গি দমনে র্যাবের কোনো তৎপরতা আছে কি না জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র্যাবের মূল ম্যান্ডেট জঙ্গি নিয়ে কাজ করা। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৯টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জেএমবির প্রসঙ্গ টেনে মঈন বলেন, আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছে জেএমবি। পরে হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি)। এ সংগঠনগুলোর তৎপরতা আগের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। গত বছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময় গ্রেফতার করা হয়। জেএমবি বা হুজির মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল।
আরও পড়ুন>> জঙ্গিরা যত দুর্গম এলাকায় অবস্থান করুক, দমনে সক্ষম হবো
তিনি বলেন, এই পুরোনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর তারা জঙ্গিবাদ নিয়ে কাজ করতে চান। একসঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন করছেন। সম্প্রতি নিষিদ্ধ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ায় তারা যুক্ত ছিলেন। এ সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এ সংগঠনের আমিরসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
এ বিষয়ে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, গত ২৩ জুন রাতে রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজ ও তার স্ত্রী নাজনীনকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্মভীরু মানুষদের ধর্মীয় কাজে খরচের কথা বলতেন শীর্ষ এ জঙ্গি নেতা। গত ১২ আগস্ট ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ মেলে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্টিউলি গ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ সংগঠনের নারী-পুরুষসহ ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এর তিনদিনের মাথায় ১৫ আগস্ট আরেক আস্তানায় অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, নতুন নতুন নামে জঙ্গিরা চাঙা হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশের ধারাবাহিক অভিযানের ফলে তারা সফল হতে পারছে না। অনলাইনেও অ্যাক্টিভ হওয়ার চেষ্টা করছে তবে সিটিটিসির সাইবার মনিটিরিং অব্যাহত থাকায় কড়া নজরদারি রয়েছে। যে নামেই জঙ্গিরা আসুক না কেন তাদের গুঁড়িয়ে দিতে সিটিটিসির সক্ষমতা রয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জাগো নিউজকে বলেন, জঙ্গিগোষ্ঠীর কিছু কিছু ঘুমন্ত সেল এখনো রয়ে গেছে। তারা আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টাও করছে। জঙ্গি একবারে নির্মূল করতে পারিনি, কিন্তু জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন>> সিরিজ বোমা হামলা : ১৪৩ মামলায় চার্জশিট, দুইজনের ফাঁসি কার্যকর
১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করানোর জন্য আপনারা জঙ্গিবাদের উত্থান দেখেছেন। বাংলা ভাই, শাইখ আব্দুর রহমানের মতো অনেক জঙ্গি দেখেছেন। তৎকালীন সরকার (বিএনপি) তখন বলতো, এগুলো মিডিয়ার সৃষ্টি। কিন্তু পরবর্তীসময়ে আপনারাই দেখেছেন সত্যিকারের জঙ্গির উত্থান।
তিনি বলেন, সেরকমভাবেই ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনা ঘটায় জঙ্গিরা। এ হামলার মধ্যদিয়ে তারা জানান দিয়েছে যে দেশে জঙ্গি আছে। আমাদের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী অত্যন্ত দক্ষ। তারা এ জঙ্গিবাদকে নিষ্ক্রিয় করছেন এবং যথাসময়ে তাদের (জঙ্গিদের) আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার ভয়াবহতা
১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ৬৬০ জন। গ্রেফতার করা হয় ৪৫৭ জনকে। পলাতক রয়েছেন ৪৮ আসামি। জামিন পেয়েছেন ৩৫ আসামি। মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ১১৮। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২৪৭। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ১৫ জন।
পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৬১টি মামলার মধ্যে সবগুলো মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এখন ৫৯টি মামলা বিচারের অপেক্ষায়।
ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার জন্য ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ছয় জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, চিন্তাবিদ আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাউদ্দিনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে (২০০১ থেকে ২০০৬) সরকারি এমপি-মন্ত্রীদের সরাসরি মদতে সারাদেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা। ২০০৫ সালের পরবর্তীসময়ে কয়েকটি ধারাবাহিক বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হন। আহত হন চার শতাধিক। ওই বছরের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং বিচারকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
এর কয়েকদিন পর সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় তিনি এবং তার গাড়িচালক আহত হন।
১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে বিচারক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহম্মদ। এ হামলায় আহত হন অনেক মানুষ। সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির লাইব্রেরি এবং চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে। গাজীপুর বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীর পোশাকে প্রবেশ করে আত্মঘাতী এক জঙ্গি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ হামলায় আইনজীবীসহ ১০ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গিও নিহত হন।
একই দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে জেএমবির আত্মঘাতী জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটান। সেখানে রাজিব বড়ুয়া নামে এক পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন পথচারী নিহত হন। পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত আহত হন। ১ ডিসেম্বর গাজীপুর ডিসি অফিসের গেটে আবারও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে নিহত হন গাজীপুরের কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম। এ ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।
৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নেত্রকোনা শহরের বড় পুকুরপার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। সেখানে স্থানীয় উদীচীর দুই নেতাসহ ৮ জন নিহত হন। শতাধিক আহত হন।
টিটি/এএসএ/এমএস