ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রবাসীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর খুনি নুর-রাশেদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নুর চৌধুরীর বাড়ির সামনে মাসে অন্তত একবার হলেও প্রবাসীদের বিক্ষোভ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসে থাকা আমাদের ভাই-বোন, বন্ধুদের বলবো- আপনারা প্রতি সপ্তাহে না পারেন, অন্তত মাসে একবার হলেও এ দুই খুনির বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করুন, প্রতিবাদ জানান। যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসি হোক চান, যারা এ কলঙ্ক মুছতে চান, তারা এ বিক্ষোভে যাবেন। আর সরকারিভাবে যত প্রচেষ্টা, সেটা আমরা চালিয়ে যাবো।’

আরও পড়ুন>> কানাডা তো খুনিদের আশ্রয়দাতা দেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নৃশংস এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ওরা আমেরিকা-কানাডায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনারা (প্রবাসী) যদি ওদের বাড়ির সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন, দেখবেন ওরা মনোপীড়ায় ভুগবে, দুঃখ পাবে। খুনিদের যতদিন না দেবে, ততদিন বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে হবে। ওই দেশের মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে প্রবাসীরা এ বিক্ষোভ করুন।’

আগেও এমন কর্মসূচি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরাও তো এটা করেছি। মহিউদ্দিনের মামলার সময়ে..., তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। আমেরিকান সরকার তখন তাকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। আপনারাও এখন এটা করুন। যখন ওরা (খুনি) দোকানে যায়, আঙুল দিয়ে মানুষকে দেখিয়ে বলুন- ওই যে খুনি যাচ্ছে। খুনি, খুনি বললে ওরা মনোপীড়ায় ভুগবেই।’

বঙ্গবন্ধুর যে ৫ খুনির হদিস মিলছে না, তাদের সম্পর্কে তথ্য দিলে পুরস্কার দেওয়া হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে ৭ জনকে এখনো ফাঁসিতে ঝোলানো যায়নি, তাদের মধ্যে মাত্র দুজনের অবস্থান আমরা জানি। বাকি ৫ জনের হদিস নেই। তারা নাম-পরিচয়ও লুকিয়ে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। দেশবাসী এবং প্রবাসীদের কাছে আহ্বান জানাবো- আপনারা ওদের তথ্য জানলে সরকারকে জানান। সরকার অবশ্যই আপনাদের বড় পুরস্কারে পুরস্কৃত করবে।’

খুনিরা নিজেদের পরিচয় গোপন করে পালিয়ে আছে উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পরবর্তী সরকার খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন মিশনে পাঠায়। যখন তারা টের পেলো মামলাটা সক্রিয় হতে পারে। তখন নিজেদের পরিচয় পাল্টে ফেলতে শুরু করে। সম্প্রতি আমি যখন আমেরিকার স্টেট সেক্রেটারিকে (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) জিজ্ঞাসা করি, তখন তিনি বলেছিলেন- আর ইউ সিউর রাশেদ চৌধুরী, অর ডেভিড হোয়াইট? আমি তখন বলেছিলাম- সেটা তো আমি বলতে পারবো না। আমরা তাকে রাশেদ চৌধুরী নামে চিনি।’

আরও পড়ুন>> জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মির্জা ফখরুল: তথ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু হত্যার নৃশংসতা ও নেপথ্যে থেকে যারা কাজ করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচনে লেখক-সাংবাদিকদের গবেষণামূলক বই লেখার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশে যারা লেখক, গবেষক আছেন, আরও ভালো গবেষণামূলক বই লিখতে পারলে ভালো হয়। আমাদের তথ্যের অনেক অভাব। একেবারে সলিড ইনফরমেশন (প্রকৃত তথ্য) নেই বললেই চলে। কানাডা, আমেরিকার মতো দেশ কেন খুনিদের লালন করবে, তা নিয়েও লিখতে হবে। সেগুলো আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ।

এএএইচ/ইএ/এমএস