ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাফুফের সাবেক সম্পাদক

ফিফার দেওয়া অর্থে কেনাকাটা হয়েছে, দুর্নীতি হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩০ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩

ফিফার দেওয়া অনুদানের অর্থে যে কেনাকাটা হয়েছে তাতে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আবু নাঈম সোহাগ। পাশাপাশি ওই কেনাকাটায় ফিফা বা বাফুফে কেউই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের কাছে এমন দাবি করেন তিনি। দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা সোয়া ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাত।

আরও পড়ুন: সোহাগকে ফিফার নিষেধাজ্ঞার কথা শুনে সালাউদ্দিন বললেন, ‘ভেরি স্যাড’

সাংবাদিকদের আবু নাঈম সোহাগ বলেন, গণমাধ্যমে লেখা হচ্ছে আর্থিক দুর্নীতি, কিন্তু বিষয়টি আর্থিক দুর্নীতি না। প্রথমত, বাফুফে থেকে যে কেনাকাটা হয়েছে, সেটা বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে হয়নি। দ্বিতীয়ত, বাফুফে পণ্য বা সেবাগুলো বুঝে পেয়েছে। তৃতীয়ত, ফিফার নিয়ম-কানুন মেনে কেনাকাটা করা হয়েছে। অর্থাৎ ফিফা বা বাফুফে কেউই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

নৈতিকতার দিক থেকে ফিফা বেশকিছু প্রশ্ন উত্থাপন করেছে দাবি করে তিনি বলেন, যেসব বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে স্পোর্টসের সর্বোচ্চ আদালত দ্য কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস- এ আপিলও করেছি। আমার আইনজীবীরা সেটা নিয়ে কাজ করছেন। এটা চলমান প্রক্রিয়া। আজ দুদককে সহযোগিতার জন্য এসেছি। আমি তাদের বেশকিছু বিষয় অবহিত করেছি।

আরও পড়ুন: বাফুফের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুদকে সুমন

দুদক কেন ডেকেছে- এমন প্রশ্নে র জবাবে আবু নাঈম সোহাগ বলেন, তাদের বেশ কিছু বিষয় জানার ছিল, তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখানে আসা। আমার দায়িত্ব দুদককে সহায়তা করা, আমি তাদের সহায়তা করছি।

এর আগে চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল দুর্নীতির প্রমাণ পেয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফিফা সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ও প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানা করে। তখনই বাফুফের কর্তা-ব্যক্তিদের দুর্নীতির বিষয়টি আবারও সামনে চলে আসে। বিভিন্ন মহল থেকে আবারও দাবি ওঠে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের।

আরও পড়ুন: বাফুফের সালাউদ্দিন-মুর্শেদী-সোহাগের দুর্নীতি অনুসন্ধানের নির্দেশ

এরপর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। গত ১৫ মে হাইকোর্টের আদেশে আগামী চার মাসের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতিসহ সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

এর আগে গত ৩ মে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকসহ ঊর্ধ্বতনদের দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়ে দুদকে আবেদন করেছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার দাবি ছিল, আবু নাঈম সোহাগ একা বাফুফেতে অনিয়ম-দুর্নীতি করেননি। তার সঙ্গে সভাপতি, সহ সভাপতিসহ ঊর্ধ্বতনরা জড়িত ছিলেন।

এসএম/কেএসআর/এএসএম