ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিরল-রাধিকাপুর স্থলবন্দর

ইমিগ্রেশন চালু চায় বাংলাদেশ, ভারতের বিবেচনার আশ্বাস

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৩

বন্ধ থাকা দিনাজপুরের বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন ফের চালু চায় বাংলাদেশ। সোমবার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সাক্ষাৎ করতে গেলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ আগ্রহের কথা জানান। হাইকমিশনার বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।

সাক্ষাৎ শেষে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, অনেকগুলো স্থলবন্দরে আমাদের ইমিগ্রেশন চালু ছিল। কোভিডের সময় সেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিছু-কিছু চালু হয়েছে কিছু-কিছু এখনো হয়নি। এগুলো যেন দ্রুত চালু করা হয় সে ব্যাপারে কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘স্পেশালি বিরল-রাধিকাপুর। এটা আমি বলেছি। কারণ এটা চালু ছিল। বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে কয়েক হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে হচ্ছে। এগুলোর ব্যাপারে তিনি (হাইকমিশনার) পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রামগড় মৈত্রী সেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্বোধন করেছিলেন। এখানে আমাদের সব অবকাঠামো হয়ে গেছে। কাস্টমসে চলে গেছে। শুধু ইমিগ্রেশনের কারণে আমরা এটি চালু করতে পারছি না। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা করে ফেলতে পারবো।’

‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। তার (সফর) আগেও কিছু-কিছু বিষয় আছে, এগুলো আমরা শেষ করতে পারি-এ কথাগুলো আলোচনা হয়েছে।’

jagonews24

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন। এই সফরে কী আলোচনা হবে সেটা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানে। এটাতো আমার জানার কথা নয়। তবে যেহেতু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেছেন, আমরা চাই প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেই যেন আমরা এটার অপারেশনে চলে যেতে পারি। এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো।’

গোমতী নদী খননে অর্থায়নের জন্য ভারত আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এর বাইরেও আমাদের আশুগঞ্জের যে রাস্তাটা আছে, সেটা আমাদের বাংলাদেশের অর্থায়নে হচ্ছে। পোর্টটা ভারতীয় অর্থায়নে হচ্ছে। সেখানে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। যেন এগুলো আমরা দ্রুত করতে পারি।’

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের ক্রুজ সার্ভিসে অনেকের আগ্রহ আছে। বেশ কয়েকটি বেসরকারি অপারেটর আমাদের কাছে আবেদন করেছে। তারা চায় বাংলাদেশ থেকে কলকাতা পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার অথবা ট্যুরিস্ট যাক। ভিসার ব্যাপারে আমরা বলেছি, তারা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিডের সময় আমাদের যেসব ক্রু ভারত যেত তারা জাহাজ থেকে নামতে পারতো না। এ বিষয়টি আমরা জানিয়েছি, যেন এটা রিলাক্স করে দেওয়া হয়।’

আরএমএম/এসএনআর/জিকেএস