ভয়াবহতা কমলেও যক্ষ্মার অস্তিত্ব এখনো রয়েছে: ডেপুটি স্পিকার
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, যক্ষ্মা এক সময় আতংকের নাম ছিল। সরকারের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ফলে জনগণের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে, তবে এর অস্তিত্ব এখনো রয়ে গেছে। করোনার পরই সর্বোচ্চ মৃত্যুর হার যক্ষ্মা রোগ। সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব হচ্ছে যক্ষ্মা সম্পর্কে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা।
শনিবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে আইসিডিডিআর,বি এবং প্রিপ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে আয়োজিত যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদী ককাসের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এন, টি, পি) নেতৃত্বে এবং স্টপ ঢিবি পার্টনারশিপ-ইউএনওপিএস-এর সহযোগিতায় এ মতবিনিময় সভা হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের চেয়ারম্যান মো. হাবিবে মিল্লাত, যক্ষ্মা নির্মূলে সংসদীয় ককাসের সদস্য সচিব আরমা দত্ত, ফখরুল ইমাম, পংকজ নাথ, মোছা. শামীমা আক্তার খানম, বাসন্তী চাকমা, লুৎফুন নেসা খান, ফেরদৌসী ইসলাম, আদিবা আনজুম মিতা, আরমা দত্ত, নার্গিস রহমানসহ অনেকে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর ছোবলে আক্রান্ত দেশ। ডেঙ্গু মুক্ত থাকতে হলে আমাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। একইভাবে যক্ষ্মা সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রোগের পরীক্ষা ও আক্রান্ত ব্যক্তিকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পূর্ণ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আর সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব হলো যক্ষ্মা নির্মূলে সবার ভাবনাগুলো সরকারের কাছে তুলে ধরা।
বিশেষ অতিথি ও জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার আফজালুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আজহারুল ইসলাম খানের সঞ্চালনায় আইসিডিডিআর’বি ও প্রিপ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিতছিলেন।
আইএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম