ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সালাউদ্দিন মিয়াজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

গ্রামের সহজ-সরল মানুষের জমি দখল, প্রতিবাদ করলেই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৩

ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মো. সালাউদ্দিন মিয়াজীর বিরুদ্ধে। গ্রামের সহজ-সরল মানুষের জমি দখল করলেও কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন না। প্রতিবাদ করলেই মামলার জালে জড়িয়ে দেন তিনি। কয়েকজনকে প্রায় ১০০টির বেশি ভুয়া মামলা করেছেন তিনি।

বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা। এসময় ভুক্তভোগী ইউনুস আলী, জামিরুল মোল্লা, সাবাবুল ও খলিলুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করে বলেন, যশোর সদর উপজেলার চাঁচরা ইউনিয়নের পুলের হাট বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রাজগঞ্জ সড়কে শ্যামল ছায়া পার্ক করেছেন সালাউদ্দিন মিয়াজী। এটি প্রায় সাড়ে ৪০০ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব জমি দখল করেছেন। এলাকার মাঠের জমির অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায় একটা পাশ দিয়ে। কিন্তু মিয়াজি সেখানে আরও ৫০ বিঘা জমি ক্রয় করে পুকুর খনন করেন, এখন বৃষ্টি হলেই মাঠের ফসল ডুবে নষ্ট হয়। বাকি জমি অল্প দামে কিনতে চান তিনি। এজন্যই শত শত বিঘা ফসলি জমির ক্ষতি করছেন।

মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী উকড়ি বিলে ভূমিহীনদের কাছ থেকে জোর করেই ১২০ বিঘা জমি নিয়ে পুকুর করেছেন। তিনি একটি বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় ভূমিহীনদের দেওয়ার কথা বলে এসব জমি বরাদ্দ নেন। পরবর্তিতে ভূমিহীনদের না দিয়ে তিনি নিজের নামে করে নেন।

মহেশপুর উপজেলার ৬০ নম্বর মৌজার ১০০ পরিবারের জমি জোর করে রেকর্ড করে নেন। জমি চাইতে গেলে এসব পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এ ১০০ পরিবারের মামলা যশোর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের কাছে বিচারাধীন।

তারা আরও অভিযোগ করেন, মিয়াজী স্বাধীনতার সময়ে একজন চিহ্নিত রাজাকারকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে মহেশপুর শহরে ১৫ কাঠা জমি দেন। যদিও রাজাকার সেই জমি তাকে লিখে দেয়নি। তার যশোরের নাভারণে ৯৭ বিঘা জমি আছে, দিনাজপুরে ১৭ বিঘা জমি, সৈয়দপুরে ২২ বিঘা জমি, ময়মসসিংহে ১৬৫ বিঘা, পাবনায় রয়েছে সম্পদের পাহাড়। এছাড়া ঢাকার সাভারে তিনটি ৫তলা বাড়ি, মোহাম্মদপুরে একটি ও বনানীতে একটি বাড়ি রয়েছে। এসব সম্পদের উৎস জানতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে অনুরোধ রইলো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, সালাউদ্দিন মিয়াজীর বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই নানা ভয়ভীতি দেওয়া হয়। তাকে জড়িয়ে দেওয়া হয় মামলায়। ভুক্তভোগীদের কারো কারো নামে ১০০টির বেশি মামলা করেছেন তিনি। সবগুলোই ভুয়া মামলা। জমি দখলের প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়।

ইএআর/এমএএইচ/এমএস