ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রোমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিস্কুট দেওয়ায় স্কুলে ভর্তি বেড়েছে, কমেছে ঝরে পড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:২৮ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৩

দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টিকর বিস্কুট বিতরণ করায় ভর্তির হার বেড়েছে এবং ঝরে পড়ার হার কমেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করে আসছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত এ কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার ১০৪ উপজেলার ৩০ লাখেরও বেশি শিশুকে পুষ্টিকর বিস্কুট সরবরাহ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের বিস্কুট দেওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে ঝরে পড়ার হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।’

সোমবার (২৪ জুলাই) ইতালির রোমে জাতিসংঘের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ফুড সিস্টেম সামিট’র উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন>> ইতালি সফরে দুটি সমঝোতা সই করবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এ কর্মসূচির অভাবনীয় সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সরকার আগামী তিন বছরে ১৫০ উপজেলার ২০ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ লাখেরও বেশি শিশুর মাঝে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে। নতুন এ কর্মসূচিতে পুষ্টিকর বিস্কুটের পাশাপাশি মৌসুমি ফল, ডিম, দুধ দেওয়ারও পরিকল্পনা রয়েছে।’

jagonews24

উন্নয়ন সহযোগীদের আর্থিক সহযোগিতা পেলে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি আরও বিস্তৃত পরিসরে চালু করা সম্ভব হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে, এ সামিটে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গ্লোবাল স্কুল মিলস কোয়ালিশনে’ যোগ দিয়েছে। ৮৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ কোয়ালিশনে যোগ দিলো। সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে বাংলাদেশ কোয়ালিশনের কমিটমেন্ট ডিক্লারেশনে সই করে।

বাংলাদেশের পক্ষে এতে সই করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) কোয়ালিশনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

কোয়ালিশনে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ব্যাপক পরিসরে ‘স্কুল ফিডিং’ চালু করার যে কর্মপরিকল্পনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে, তা আরও ত্বরান্বিত হবে।

এএএইচ/ইএ