এডিস মশার উৎস খুঁজতে এবার চসিকেও ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন
এডিস মশার উৎস খুঁজতে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও (চসিক) ড্রোন ব্যবহার করছে। বাসাবাড়ি, অফিস–আদালতের ছাদবাগান ও অন্যান্য উৎসে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভা খুঁজতে এ ড্রোন ব্যবহার করা হবে।
রোববার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির অংকুর স্কুলপ্রাঙ্গণে ড্রোনের মাধ্যমে মশার আবাসস্থল চিহ্নিতকরণ ও জনসচেতনতা কার্যক্রম শুরু করবেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। চসিকের জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ মশার আবাসস্থল চিহ্নিতকরণে ড্রোনের ব্যবহার শুরুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নগরের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অনাবাদি জমি, নালা ও ঝোঁপঝাড়, জলাশয় ও পরিত্যক্ত বাড়িতে জরিপ চালিয়ে মশার ৪৩৩টি প্রজননস্থল চিহ্নিত করে চসিকের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ শাখা। এসব জায়াগাকে হটস্পট ধরে কীটনাশক ছিটানোর ওপর জোর দিচ্ছে চসিক। তাছাড়া ড্রোন অভিযানে যেসব বাসাবাড়ির ছাদে এডিস মশার উৎস পাওয়ায় যাবে, ওইসব ভবনমালিককে আইনের আওতায় আনা হবে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, মশা খুঁজতে চসিক ‘ডিজেআই ম্যাভিক এয়ার এস ২’ মডেলের ড্রোন ব্যবহার করবে। এটার ওজন ৫৯৫ গ্রাম। ড্রোনটিতে থাকবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা। মাটি থেকে ১০০ মিটার উঁচুতে উঠে ছবি বা ভিডিও করা যাবে এ ড্রোন দিয়ে।
এছাড়া যিনি ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করবেন, তার চারপাশের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এ ড্রোন। ড্রোনটির জন্য প্রতিদিন সিটি করপোরেশনকে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হবে। প্রাথমিকভাবে নগরের ৬০টি আবাসিক এলাকায় এ ড্রোন অভিযান পরিচালনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়।
এরপর ২২ জুন চকবাজার ওয়ার্ডের চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের সামনে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ১০০ দিনের আরেকটি ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু হয়। এ কর্মসূচি প্রায় ১৭ দিন চললেও মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে না আসার অভিযোগ করেছেন নগরবাসী। পাশাপাশি নগরীতে ডেঙ্গুর প্রকোপও বাড়ছে অভিযোগ। চলতি জুলাই মাসের প্রথম সাতদিনে ২৫৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস।
এমডিআইএইচ/এসএএইচ