শাহজালালের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাচ্ছে ব্রিটিশ কোম্পানি
নিরাপত্তা ত্রুটির অজুহাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পণ্যবাহী কোনো বিমানের সরাসরি যুক্তরাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর, এখন বাংলাদেশের এই বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পেতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যেরই কোনো একটি কোম্পানি। ইতোমধ্যে তিনটি কোম্পানির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
তালিকাভুক্ত ওই তিনটি কোম্পানির মধ্যে শেষপর্যন্ত যে কোম্পানিটি কাজ পাবে, শাহজালালে কর্মরত বর্তমান নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে তারা যৌথভাবে কাজ করবে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি হবে এবং ৩১ মার্চের মধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে ওই কোম্পানি কাজ শুরু করে দেবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে তিনটি ব্রিটিশ কোম্পানির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- রেড লাইন সিকিউরিটি কোম্পানি, ওয়েস্ট মিনিস্টার গ্রুপ ও রেসট্রাটা সিকিউরিটি কোম্পানি। প্রতিষ্ঠান তিনটির সঙ্গে আলাদা বৈঠক শেষে যেকোন একটিকে কাজ দেয়া হবে।
রেড লাইন, ওয়েস্ট মিনিস্টার ও রেসট্রাটা তিনটি কোম্পানিই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এসব কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিদেশি কোন কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে- বৈঠকে শেষে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা এখনও ঠিক হয়নি। আমরা ৪/৫টি কোম্পানির নাম পেয়েছি। এগুলো থেকে বাছাই করা হবে।’
৩১ মার্চের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যুক্তরাজ্যের দেয়া কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরুর বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেইক সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় হাইকমিশনার তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ কোম্পানির মাধ্যমেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
নিরাপত্তা ত্রুটির অজুহাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পণ্যবাহী কোনো বিমানের যুক্তরাজ্যে প্রবেশে মার্চের ৯ তারিখে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। গত বছরের শেষ দিকে একই কাজ করেছে অস্ট্রেলিয়া। যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা ও কৃষিপণ্যের রফতানিকারকরা বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
এদিকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ১৩ মার্চ পদত্যাগ করেন সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম সানাউল হক। দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও।
আরএম/এনএফ/আরআইপি