বৃষ্টির বাগড়ায় পশু কোরবানিতে বিপত্তি
সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুয়ায়ী পশু কোরবানি করছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানি করছেন মুসলমানরা। তবে ত্যাগের এ উৎসবে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। গত দুইদিনের মতো সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঈদের নামাজ শেষে মহল্লায় মহল্লায় নিজ নিজ পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ঢাকার সব অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন: দেশ-জাতির মঙ্গল ও বিশ্ব শান্তি কামনায় দোয়া
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, শনির আখড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নামাজ শেষে পশু কোরবানির জন্য বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করেছেন অনেকে। পরে বৃষ্টি আরও বেড়ে যাওয়ায় বিলম্ব না করে কোরবানি করেছেন কেউ কেউ। ছাতা মাথায় নিয়ে কোরবানির কার্যক্রম তদারকি করছেন অনেকেই। আর কসাইরা বৃষ্টিতে ভিজেই পশুর চামড়া ছাড়ানোর কাজ করছেন।
বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ মানুষ বাসার নিচের গ্যারেজে পশু কোরবানি করেছেন। অনেকের গ্যারেজে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যেই বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠে পশু কোরবানি করছেন। কোরবানির পশু জবাই করতে মহল্লার এ বাড়ি থেকে ওই বাড়ি ছুটছেন মৌলভিরা।
এদিকে, চুক্তিতে পশুর মাংস কাটতে আসা কসাইরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটার পর একটা পশুর চামড়া ছাড়িয়ে মাংস প্রস্তুত করে দিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: মহল্লায় মহল্লায় চলছে পশু কোরবানি
নামাজ শেষে বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টা মতো অপেক্ষা করেছেন নাজমুল চৌধুরী। তবে বৃষ্টি না কমায় আর বিলম্ব না করে পশু কোরবানি করেছেন তিনি। জাগো নিউজকে নাজমুল বলেন, গত দুইদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও বৃষ্টি হবে এমন ধারণা করেছিলাম। ভেবেছিলাম পশু কোরবানি শেষে চামড়া ছাড়িয়ে বাড়ির ভেতরেই মাংস কাটাবো। কিন্তু টানা বৃষ্টি হওয়ায় ভিজেই পশু কোরবানি করেছি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও বৃষ্টি কমছিল না। তাই বাধ্য হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই কোরবানি করেছি।
মৌসুমি কসাই আহাদ মুন্সি বলেন, ‘বৃষ্টির মধ্যেই গরু কাটা শুরু করছি। আমাগো তো আরও কাম নেওয়া আছে। বৃষ্টির লইগ্যা দেরি করা সম্ভব না। আগেও অনেকবার বৃষ্টির মধ্যে মাংস কাটছি। আমগো এগুলা অভ্যাস আছে। তয় ভিজলে জ্বর ঠান্ডা লাগে- এইডাই সমস্যা।’
তবে কোরবানির জন্য পশু কিনলেও সবাই আজ কোরবানি করছেন না। কেউ কেউ ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন পশু কোরবানি দেবেন। যারা আজ কোরবানি করছেন না তাদের বেশিরভাগই কসাই না পাওয়ায় কাল বা পরশু কোরবানি করবেন।
আইএইচআর/কেএসআর/এএসএম