রাতেও অবিক্রীত, গরু নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ব্যাপারীরা
রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। বাকি আছে কয়েক ঘণ্টা। অথচ গাবতলী পশুর হাটে হাজারো কোরবানির পশু অবিক্রীত। এসব গরু বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যাপারীরা।
বুধবার (২৮ জুন) রাতে গাবতলীর পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কুষ্টিয়া দৌলতপুরের মিজানুর রহমান। তিনি মোট ২৩টা গরু হাটে তুলেছেন। ১৮টা গরু লোকসানে বিক্রি করেছেন। ৫টা গরু অবিক্রীত রয়েছে। এসব গরু বাড়ি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কুষ্টিয়া থেকে একটি গরু পরিবহন খরচ ৬ হাজার টাকা। একটা গরুর হাট খরচ ২ হাজার ৫০০ টাকা। বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে আরও ৩ হাজার টাকা। এছাড়া খাবার ও রাখাল খরচ দিয়ে গরু প্রতি খরচ ১২ হাজার টাকা।
মিজানুর রহমান বলেন, একটা গরু হাটে নিয়ে আসতে ১০ হাজার টাকা খরচ আছে। বাড়িতে নিয়ে গেলে আরও খরচ আছে। আমরা বড় সমস্যায় পড়েছি ভাই। এবার আর ঈদ নেই বাড়িতে যেতে পারবো না।
গরু বেচাকেনা না হওয়ায় অনেক ব্যাপারী মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। অনেক ব্যাপারী ৪ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত লোকসান দিয়েছেন। গরুর সংখ্যা যত বেশি লোকসানের পরিমাণ ততই বেশি। বৃষ্টির কারণে বুধবার পানির দরে গেছে গরুর দাম।
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের ব্যাপারী লালন শেখ বলেন, গরুর দাম নেই। বাজারে এর থেকে বেগুনের দাম বেশি। যে গরু ১ লাখ ৪৫ হাজারে কেনা সেই গরুর দাম বলে ৮০ হাজার। গরু তো আর ফালাই দেওয়া যাব না। আমরা যে জিনিস না খাইছি সেই জিনিস খাওয়াইছি। এখন বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
এমওএস/এমআরএম