পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) কোনো এক অদ্ভূত কারণে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রোববার (২৫ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ এ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে ডেকে কথাও বলা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগে যেন রিভিউ করতে দেওয়া হয়, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা করেনি। এরপর থেকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে ‘এনগেজ’ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>> লবিস্ট দিয়ে বিবৃতি আনা দেশদ্রোহিতার শামিল: তথ্যমন্ত্রী
শাহরিয়ার আলম বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ১০ বছর ধরে কাজ করছে। যেখানে ১৬৯ জনজীবন দিয়েছেন। এ অর্জনকে যারা খাটো করে দেখছেন, ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা বাংলাদেশের বন্ধু নন, শত্রু। তারা কংগ্রেসম্যান, নাগরিক, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী যে-ই হোন, তারা শত্রু। তাদের যারা টাকা দিয়ে প্রভাবিত করেছেন, তারাও যে বাংলাদেশের শত্রু, এটা চেনার সময় এসেছে। এটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কোনো কারণ নেই। এগুলো অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কংগ্রেস সদস্যদের চিঠির প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামনের নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের চিঠির সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তার নিজের কাছেও দুটো চিঠির ড্রাফট আছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির লোকজন টাকা নিয়ে চিঠির ড্রাফট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইউরোপ–আমেরিকার বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের কাছে। এ ধরনের চিঠি কোনো রাষ্ট্রের অবস্থান না। যারা চিঠি দিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে ভালোভাবে জানে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার লবিস্ট বা পিআর ফার্মের পেছনে জনগণের করের টাকা ব্যয় করতে চান না। এখন ‘নেলসন মলিন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এছাড়া বিজিআর নামে পত্রিকায় আর্টিকেল লেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।
আইএইচআর/ইএ/জিকেএস