ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ডিজিটাল হাটে ৫০ হাজার পশু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ২৪ জুন ২০২৩

চলতি বছর ডিজিটাল হাটে ৫০ হাজার পশু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে এবার অনলাইনে ২০ শতাংশ কম পশু বিক্রি হতে পারে। করোনার পর এবং পশুর দামের কারণে কম হবে বিক্রি।

শনিবার (২৪ জুন) ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এরই মধ্যে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় পর্যায়ের হাটগুলো যুক্ত রয়েছে ডিজিটাল হাটে।

আরও পড়ুন: জনপ্রিয় হচ্ছে অনলাইনে ভাগে কোরবানি

তবে এ বছর ডিজিটাল হাটে প্রবাসীদের কোরবানির পশু কেনার সুযোগ থাকছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) ব্যবস্থাপনায় এবং সরকারের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-প্রকল্পের একশপের কারিগরি সহায়তায় অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২০ সালে ডিজিটাল হাটের প্রথম বছরে ২৭ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল। এরপর ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে ২০২১ সালে ৩ লাখ ৮৭ হাজার কোরবানির পশু বিক্রি হয়। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এই প্লাটফর্মে প্রায় ৬০ হাজার পশু বিক্রি হয়েছিল।

আরও পড়ুন: যাদের কোরবানি কবুল হবে না

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা তিন বছরে প্রায় ১০ হাজার খামারিকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছি। বিভিন্নভাবে তারা অনলাইনে পশু বিক্রি করেছেন এবং অনেকে প্রত্যক্ষভাবেও এর সুফল পেয়েছেন।

একশপ-এর টিম লিডার এবং এটুআই-এর কমার্শিয়াল স্ট্র্যাটেজি বিভাগের প্রধান রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, digitalhaat.gov.bd ছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্যাটল বিক্রির প্লাটফর্মগুলো এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ বলেন, এবারের ডিজিটাল হাটের বিশেষ সংযোজন হলো- প্রবাসীদের জন্য অনলাইনে পশু কেনার সুযোগ। তবে এটা শুধুমাত্র মূল প্লাটফর্ম digitalhaat.gov.bd থেকে কেনার জন্য প্রযোজ্য হবে। এছাড়া ক্রেতা যে জেলার জন্য ক্রয় করবেন সে জেলায় পশুর অবস্থান হতে হবে।

আরও পড়ুন: কোরবানির পশু কখন জবাই করবেন?

ডিজিটাল হাট-এর মাঠ পর্যায়ের সমন্বয়ক ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম শোভন বলেন, ডিজিটাল হাটে পেমেন্টের প্রক্রিয়া হবে এরকম- পশু পছন্দ ও দাম নির্ধারণ, এরপর কর্তৃপক্ষ ক্রেতা ও বিক্রেতাকে ভেরিফাই করে একটি অনলাইন পেমেন্ট লিংক ক্রেতার জন্য প্রেরণ করবেন। সেই লিংকে পেমেন্ট করবেন ক্রেতা। এরপর বিক্রেতা ঠিকানা অনুযায়ী পশু ডেলিভারি করবেন। পুরো বিষয়টি ডিজিটাল হাট ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তদারকি করবে। এবারও স্লটারিং সেবার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এটা সম্ভব হবে স্লটারিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান খালি থাকা সাপেক্ষে এবং আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে।

আইএইচআর/জেডএইচ/এএসএম