ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উত্তরাঞ্চলে ইয়াবা সরবরাহের সমন্বয়ক শাহজাহান: ডিএনসি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩

টেকনাফ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকায় আসে ইয়াবার চালান। আর সেগুলো গ্রহণ করে সাভারে হেমায়েতপুরের বাসায় মজুত করতেন ঠাকুরগাঁওয়ের শাহজাহান। এরপর নানা কৌশলে উত্তরবঙ্গের কারবারিদের কাছে পৌঁছে দেন ইয়াবা। টেকনাফ থেকে ঢাকায় চালান আনার পর তা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে কীভাবে, কার কাছে ইয়াবা পৌঁছাবে তার সমন্বয় করতেন এ শাহজাহান।

একটি ইয়াবা চালানের সূত্র ধরে গতকাল বুধবার হেমায়েতপুর থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) উত্তর বিভাগ। এর আগে শাহজাহানের কাছে ইয়াবার চালান নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার হয় ট্রাকচালক আলমগীর।

jagonews24

আলমগীরের ট্রাকের স্পেয়ার চাকার টিউবে বিশেষভাবে লুকানো অবস্থায় ১০ হাজার ইয়াবা ও পরবর্তীতে হেমায়েতপুরে শাহজাহানের বাসা থেকে নারীদের পেটিকোটে সেলাই করে লুকানো অবস্থায় রাখা ১৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জমান আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

গ্রেফতার শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসা ইয়াবা সমন্বয় করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে পাঠাতো শাহজাহান। রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ অন্য জেলাগুলোতে ইয়াবা সরবরাহ করে আসছিল তারা। আর ইয়াবা বহন করার জন্য নারীদের ব্যবহার করতো শাহজাহান।

jagonews24

রাশেদুজ্জমান বলেন, ট্রাকচালক আলমগীরের বিষয়ে রাশেদুজ্জামান বলেন, টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহনের আড়ালে ইয়াবা বহন করে আসছিল আলমগীর। টেকনাফের ইয়াবা কারবারিদের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিত ইয়াবা। এ কাজের জন্য প্রতি ট্রিপে এক থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পেতো আলমগীর।

এ পর্যন্ত কতগুলো ট্রিপ দিয়ে তা স্বীকার করেনি আলমগীর। ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, হাতেনাতে আটক করার পরও মাদক কারবারে জড়িতরা কিছু স্বীকার করতে চায় না। রিমান্ডে এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাদের।

টিটি/এমআইএইচএস/জিকেএস