ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে শ্বাসরোধে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ০৬ জুন ২০২৩

রাজধানীর কদমতলী থানার পশ্চিম মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে এক তরুণের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। নিহত ব্যক্তির নাম ইমন কাজী (১৭)।

ডিবি বলছে, নিহত ইমন কাজীর সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আল-আমিন শেখের (৩৬) স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন আল-আমিন।

গতকাল সোমবার (৫ জুন) বরিশালের হিজলা উপজেলার গোবিন্দপুর খন্না এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে আল-আমিনকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মামলার বরাত দিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান বলেন, গত ৩ জুন ডিএমপির কদমতলী থানার পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মারিয়া জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশ থেকে ইমনের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ শনাক্তের পর নিহতের বাবা মো. লিটন কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবির ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনাল টিম। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীসময়ে সোমবার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

যেভাবে হত্যা

গ্রেফতার আল-আমিনের বরাত দিয়ে হত্যার বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, একসঙ্গে অটোরিকশা চালানোর সূত্র ধরে ইমন ও আল-আমিনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। ইমনের যাতায়াত ছিল আল-আমিনের বাসায়। একসময় আল-আমিনের স্ত্রীর সঙ্গে ইমনের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ডিবিপ্রধান জানান, ইমনের অটোরিকশায় বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করতেন আল-আমিনের স্ত্রী। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করেন আল-আমিন। এরই অংশ হিসেবে ইমনকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেন। পরে পাওনা টাকার জন্য চাপ দেন।

গত ৩০ মে ইমনকে কৌশলে বাসা ডেকে নেন আল-আমিন। পরে তাকে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান তিনি। তখন তাদের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে ইমনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন আল-আমিন।

মরদেহ গুম করা হয় যেভাবে

হত্যার পরে ইমনের অটোরিকশাটি গেন্ডারিয়া থানার গঙ্গা শাহ মাজারের সামনে ফেলে আসেন আল-আমিন। পরে বাসায় এসে ঘুমান। ঘুম থেকে ওঠে দোকানে গিয়ে বস্তা কিনে সেই বস্তায় মরদেহ ভরে নিজের অটোরিকশায় পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মসজিদের পাশের একটি খালি প্লটে ফেলে আসেন। এরপর বরিশালের হিজলা উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে আত্মগোপন করেন আল-আমিন।

টিটি/এমকেআর/এএসএম