সাগর-রুনির খুনিরা চিহ্নিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ চার বছর পেরিয়ে গেলেও খুনিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার তো দূরের কথা তদন্তের বিশ্বাসযোগ্য ও প্রামাণ্য কোনো অগ্রগতিও না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডে সাংবাদিক সমাজসহ সাধারণ মানুষ হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
ডিআরইউ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে আমাদের প্রিয় দুই সহকর্মী মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি তাদের নিজ বাসায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ভয়াবহ এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। পেশাদার দুই সাংবাদিকের এই নৃশংস হত্যার খবর জেনে সারা দেশের মানুষ শিউরে ওঠে। ঘটনার দু’দিন পর পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক হত্যাকাণ্ডের ‘প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতির’ কথা জানান।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও তা করতে পারেনি তদন্ত সংস্থা। এভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলোচিত এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে আমাদের সংশয় বাড়ছে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দেয়া আলটিমেটাম অনুযায়ী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।
নতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, খুনিদের চিহ্নিত, গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ১৫ মার্চ থেকে সাংবাদিকদের মধ্যে মাসব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি চলবে। ডিআরইউ কার্যালয় এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হবে। সংগৃহীত স্বাক্ষরসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দীন, সহ-সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক কামরুজ্জামান কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, দফতর সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, কল্যাণ সম্পাদক জিলানী মিলটন, কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, শফিকুল ইসলাম শামীম ও মো. মহসিন হোসেন।
এইচএস/এনএফ/এমএস