জলবায়ু ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অবদানে জোর জাতিসংঘের
জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা এবং রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি ও অবদান দ্বিগুণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জাতিসংঘের চরম দারিদ্র্য ও মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ দূত অলিভের ডে শ্যাটার।
রোববার (২৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
উচ্চ দারিদ্র্যসীমা ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং নিম্ন দারিদ্র্যসীমা ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন অলিভের। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা ও রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি এবং অবদানকে দ্বিগুণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বিশেষ দূত।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার প্রত্যয়
এসময় অলিভের ডে শ্যাটার অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার এবং নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে যোগসূত্রের ওপরও জোর দেন। টেকসই উন্নয়নের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সংকট: ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর চাহিদা ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি
অলিভের ডে শ্যাটার তার এ সফরের বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী বছরের জুনে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে গত ১৭ মে ঢাকা সফরে আসেন জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত। রোববার ছিল তার সফরের শেষ দিন। সফরকালে তিনি সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলা ভ্রমণের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করেন অলিভের ডে শ্যাটার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার অর্থায়নে সব দেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে
আইএইচআর/এমকেআর