ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে
শক্তি সঞ্চয় করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখা যখন বাংলাদেশে আঘাত হানবে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে তখন উপকূলীয় এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
শনিবার (১৩ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পিডিবি। এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি গভীর নিম্নচাপটি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ অন্যান্য স্থানে আঘাত হানতে পারে। সেই সময় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে উপকূলীয় এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটতে পারে। স্পষ্টতই দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা নানাভাবে ব্যাহত হয়। এরই মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফলে, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে শনিবার গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এ সময় চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকবে। তবে, পরবর্তীতে ঝড়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
পিডিবির বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এছাড়া বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণেও প্রায়শ বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে। বৈদ্যুতিক লাইনে ডাল-পালাসহ গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে। এতে বৈদ্যুতিক লাইন ও পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটে যান্ত্রিক ত্রুটি। সুতরাং এরকম বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে গাছ সরানোসহ যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধানে কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। এ অবস্থায়ও বৈদ্যুতিক সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সব কারিগরি কর্মীরা তৎপর আছেন।
পিবিডি আরও বলেছে, বিদ্যুৎ প্রাণঘাতী। তাই বৈদ্যুতিক ছেঁড়া তারের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। ঝড় থেমে গেলেও আপনারা কোনোভাবেই ছেঁড়া তার ধরবেন না। বিদ্যুৎকর্মীরাই ছেঁড়া তারের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। পাশাপাশি আপনাদের বৈদ্যুতিক ছেঁড়া তার দেখামাত্র কাছের বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলো।
টিটি/এমএএইচ/জিকেএস