ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশে বয়স্কদের মৃত্যু বেশি হৃদরোগে, শিশুদের নিউমোনিয়ায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

দেশে বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ হৃদরোগ। বয়স্কদের মৃত্যুর ২৩ শতাংশই হয় হৃদরোগের কারণে। অন্যদিকে এক বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি দায়ী নিউমোনিয়া। পাশাপাশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর ক্ষেত্রেও নিউমোনিয়া সবচেয়ে বেশি দায়ী। এ বয়সে মারা যাওয়া শিশুদের ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশই নিউমোনিয়ায় মৃত্যুবরণ করে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস অব বাংলাদেশ’ জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য দেখা গেছে।

জরিপে দেখা গেছে, বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্বাসতন্ত্রের রোগে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ, হাঁপানিতে ৮ দশমিক ১ শতাংশ এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে ১০ দশমিক ১ শতাংশ। তবে বৃদ্ধ বয়সের জনগোষ্ঠীর ১৩ দশমিক ৬ শতাংশের মৃত্যুর জন্য দায়ী অজ্ঞাত কারণ।

দেশে মাতৃমৃত্যুর সবচেয়ে বড় (২৯ শতাংশ) কারণ জটিল প্রসবজনিত বিষয়। এরপরই রয়েছে রক্তক্ষরণজনিত কারণ ২১ শতাংশ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত জটিলতা ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ।

এক বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যু ঘটনায় যেমন বেশি দায়ী নিউমোনিয়া, একইভাবে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বেশি দায়ী নিউমোনিয়া। এ বয়সে মারা যাওয়া শিশুদের ৪৪ দশমিক ৬ শতাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে। এছাড়া শিশু মৃত্যুর অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- অজ্ঞাত কারণে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, জন্ডিসে ৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং সাধারণ জ্বরে মারা যায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। পল্লি অঞ্চলে এই বয়সী শিশুদের মৃত্যুর ৭ দশমিক ৯ শতাংশের জন্য দায়ী পানিতে ডুবে। তবে শহর এলাকায় এই বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণের হার গ্রামের তুলনায় কম, যা মোট মৃত্যুর ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম আরও দুটি কারণ হলো- শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অপুষ্টি। এ বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুর ঘটনার ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হয় হৃদরোগের কারণে। শহরের তুলনায় গ্রামে হৃদরোগে শিশু মৃত্যুর হার বেশি। শহর এলাকায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুর ৫ দশমিক ২ শতাংশ হয় হৃদরোগে, গ্রামে যা ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

জরিপের ফলাফলের সারণির সর্বশেষ কলামে মাতৃমৃত্যুর কারণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রসব সংক্রান্ত জটিলতার কারণে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মাতৃমৃত্যু হয়। মোট মাতৃমৃত্যুর ৪৯ শতাংশের জন্য দায়ী প্রসব সংক্রান্ত জটিলতা। এছাড়া জটিল গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের পরে রক্তক্ষরণ সামগ্রিক মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ।

এমওএস/কেএসআর/এমএস