ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নতুন রাষ্ট্রপতিকে বরণ ও শপথের জন্য প্রস্তুত বঙ্গভবন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে বরণ ও শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত বঙ্গভবন। সোমবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শপথবাক্য পাঠ করাবেন। শপথের পর নতুন রাষ্ট্রপতি শপথ নথিতে সই করবেন। এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ কয়েকশ বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এজন্য বঙ্গভবন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, শপথগ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করবেন।

Bangabhaban-2.jpg

নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন শপথ নেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসভবন ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ যাবেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে আবদুল হামিদ বঙ্গভবন ত্যাগ করবেন। এরইমধ্যে বঙ্গভবন থেকে বিদায়ী রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সেখানে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাবেন।

আরও পড়ুন>> বঙ্গভবনে আবদুল হামিদের শেষ কার্যদিবস আজ

এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় নতুন রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গভবনে উঠবেন। তবে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পরদিন মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নতুন রাষ্ট্রপতিকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে।

চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ৭৩ বছর বয়সী মোঃ সাহাবুদ্দিন। তিনি ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসা।

আরও পড়ুন>> রাষ্ট্রপতি হিসেবে সোমবার শপথ নেবেন সাহাবুদ্দিন

মোঃ সাহাবুদ্দিন ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন এ রাজনীতিবিদ।

jagonews24

নতুন রাষ্ট্রপতি ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পাবনায় আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর পর তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন। ওই সময় সামরিক স্বৈরশাসকদের রোষানলে তিন বছর জেল খাটেন।

মো. সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তার অনেক কলাম বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ছাপা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন>> রাষ্ট্রপতি হিসেবে শেষ ঈদ জামাতে আবদুল হামিদ

সাহাবুদ্দিন পরপর দুইবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। পরবর্তীকালে ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দুদক কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিন পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিরুদ্ধে ওঠা তথাকথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দৃঢ়তার পরিচয় দেন। সাবেক এ ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এইচএস/এএএইচ/এমএস