ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘বাচ্চাগো মাদরাসার বেতন বাকি, তাই ঈদের দিনও রাস্তায় নামছি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৩

ঈদ উদযাপিত হচ্ছে দেশে। চারদিকে আনন্দের জোয়ার। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে সবাই। কিন্তু কাউকে কাউকে যেন স্পর্শই করে না এই আনন্দ, এটিও তাদের কাছে অন্যান্য দিনের মতো টেনে নেওয়া সাধারণ দিন।

শনিবার (২২ এপ্রিল) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। দুপুরের দিকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক মো. আব্দুল কুদ্দুসের সঙ্গে। বয়স ৫০ পেরিয়েছে। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের নাসিরপুর গ্রামে।

তিনি বলেন, ‘আমার তিন ছেলে। বড় ছেলের বয়স ১৬ বছর, মাইজ্যাডার ১৪ বছর ও ছোডডার ১০ বছর। সবাই গ্রামের বাড়িতে, আমি ঢাকায় মেসে থাকি।’

আরও পড়ুন: শরীরটা এখানে, মনটা বাচ্চাদের কাছে পড়ে আছে

স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে কেন ঈদ করতে যাননি- জানতে চাইলে বলেন, ‘আমার তিনটি ছেলেই মাদরাসায় পড়ালেখা করে। লেখাপড়া, থাকা-খাওয়ার খরচ, তিন বাচ্চার পেছনে মাসে ৬ হাজার টাকা লাগে। বাচ্চাদের মাদরাসায় তিন মাসের বেতন বাকি পড়ছে। ঈদে বাচ্চাদের কাপড়-চোপড়ও কিইন্ন্যা দিতে পারি নাই।’

‘আমরা এদিকে থাহা-খাওয়ার খরচ আছে। মাসে ১৫ হাজারের কমে অয় না। কিন্তু রিকশা চালাইয়া তো এত টাকা পাই না। আয় কোন মাসে ৮ হাজার, কোন মাসে ১০ হাজার, কোন মাসে ১২ হাজার- এমনই অয়। ভাড়া রিকশা চালাই দৈনিক জমা ১৩০ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘সব মিলাইয়া চিন্তা করছি বন্ধের মধ্যে যদি দুইডা পয়সা কামাইতে পারি। হেইডা দিয়া মাদরাসার বাকি বেতন দিমু, বাচ্চাগো নতুন কাপড় কিন্যা দিমু। তাই ঈদের দিনও গাড়ি লইয়া রাস্তায় নামছি।’

আরও পড়ুন: ঈদের দিনও রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে

কুদ্দুস বলেন, ‘কাইল (গতকাল শুক্রবার) সকাল ৮টা বাজে বাইর অইয়া রাইত সাড়ে ১২টা বাজে বাসায় গেছি, এক হাজার টাকা কামাইছি। আগের দিনও এক হাজার টাকা পাইছি। হাতে এখন ২ হাজার টাকা আছে।’

‘সকালে নামাজ পইড়া বাইর হইছি। দুপুরে খিদা-মিদা লাগবে একটা বিস্কুট-রুটি, পান খাইয়া নিমু। আইজ আল্লাহ কী দেয় দেহি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও কয়ডা টাকা হইলে অল্প কয়দিনের মধ্যেই বাড়ি যামু। বাকি বেতনটা দিমু। বাচ্চারা মাদরাসায় পড়ে, কাপড় কিইন্ন্যা তাগো পায়জামা ও পাঞ্জাবি বানাইয়া দিমু।’

আরএমএম/এসএইচএস/জেআইএম