ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাতটা। ঢাকার মহাখালীতে তখন তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরমধ্যে মহাখালীর ওয়্যারলেস এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। রমজানের সকালে তীব্র গরমে অনেকেই রাস্তায় বের হয়ে যান। রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করেন। লোডশেডিং নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন।

মহাখালী হাজিবাড়ি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গত কিছুদিন ধরে ঢাকায় তীব্র গরম। এজন্য কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ চলে গেলে বাসায় বসে থাকার উপায় থাকে না। গরমে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।

তিনি বলেন, গরমে আগের মতোই অবস্থা। যখন তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। গরমে নগরবাসীর মরার অবস্থা তৈরি হয়েছে।

পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। ওই এলাকার লোডশেডিং নিয়ে সোমবার সকালে তার সঙ্গে কথা হয়। আলাপকালে তিনি বলেন, ঢাকার মধ্যে পুরান ঢাকায় মনে হয় সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়। সারা বছরই এ এলাকায় এমন পরিস্থিতি হয়। এখন রমজানে লোডশেডিংয়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ইফতার এবং সেহেরির সময়ও বিদ্যুৎ থাকে না। মধ্যে রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঘুম ভেঙে যায়।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, আছে লোডশেডিং-পানির সংকট

মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় গতকাল রোববার (১৬ এপ্রিল) দিনগত রাতে অন্তত চারবার লোডশেডিং হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, সাধারণত লোডশেডিং হলে ছয় তলা বাড়িতে জেনারেটর চালাই। কিন্তু ইদানিং লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানিও বেশি লাগছে। রমজান মাস হওয়ায় এ জ্বালানির খরচ ভাড়াটিয়াদের কাছে বেশি চাইতেও পারছি না। এমন পরিস্থিতি আর কতদিন চলবে আল্লাহই ভালো যানে।

পান্থপথের মুদি দোকানি সালাউদ্দিন। লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসা পরিচালনায় সমস্যা হওয়ায় সম্প্রতি চার্জার ফ্যান কিনেছেন তিনি। তবে লোডশেডিং এবং গরমে এ ফ্যানও তেমন কাজ করে না বলে জানিয়েছেন। সালাউদ্দিন বলেন, ফ্যানটা পুরোপুরি চার্জ হতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। তখন এটা দিয়ে এক ঘণ্টার মতো চালানো যায়। কিন্তু দুই-তিন ঘণ্টা পরপরই লোডশেডিং হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্যানও কাজ করছে না। দম বন্ধ হয়ে আসছে।

এমএমএ/এমএইচআর/এএসএম