তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন, আছে লোডশেডিং-পানির সংকট
বৈশাখের আগে থেকেই ভয়াবহ তাপপ্রবাহে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। কয়েক দিন ধরে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে বাড্ডা, বনশ্রী, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে লোডশেডিং ও পানির সংকট। বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ, পানির সংকটে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা।
শনিবারও (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বৈশাখের প্রথম দিনও তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে।
মধ্য বাড্ডার বাসিন্দা মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, শনিবার দিবাগত রাতে সেহরির আগে পরে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। তীব্র গরমে পরিবারের সবার ঘুমাতে ও সেহরি করতে কষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন> ৩ দিনের মধ্যে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা
মিরপুরের বাসিন্দা শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ যাচ্ছে তবে এক ঘণ্টার আগেই তা ফিরে আসছে।
এদিকে, লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানির সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ওয়াসার পানির পাইপ বসানোর কাজ চলমান থাকায় কোথাও কোথাও পানির সংকট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
এছাড়া রাজধানীর আদাবর, শেখেরটেক, মেহেদীবাগ, মনসুরাবাদ, মোহাম্মাদিয়া হাউজিংয়ে পানির সংকটের কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন>ঢাকায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
উত্তর আদাবরের বাসিন্দা শাহনাজ বেগম জানান, রাতে কিছু সময়ের জন্য পানি থাকে। তখন বালতি, পানির বোতল কিংবা জারে পানি সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। সকালে পানির প্রয়োজন হলে অন্য এলাকা থেকে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গা জেলায়। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালে ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল।
এসএম/এসএনআর/জিকেএস