ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উড়ালসড়কের খুঁটিতে পোস্টার লাগানো বন্ধে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২৩

রাজধানীর উড়ালসড়কগুলোর খুঁটিতে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (১০ এপ্রিল) মগবাজার উড়াল সড়কের খুঁটিতে এ দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ গ্রাফিতি আর্ট যত্রতত্র পোস্টার বন্ধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন মেয়র।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলাম চিত্র শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতে নিজেই রঙতুলির আঁচড়ে গ্রাফিতি কার্যক্রম শুরু করেন। উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এ দেশ, এ শহর আমাদের। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এ দেশ পেয়েছি। অথচ যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে আমরা নিজেরাই এ শহরে দৃশ্য দূষণ করছি। আমরাই শব্দদূষণ করছি, বায়ুদূষণ করছি। শহরের দূষণ বন্ধে আমাদের নিজেদের ঠিক হতে হবে, সচেতন হতে হবে। শুধু সরকার, সিটি করপোরেশন দায়িত্ব নিলে হবে না। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, শহরের উড়াল সড়কের পিলারগুলোতে তাকালে দেখা যায়- ‘অমুক ভাই সালাম নিন, তমুক ভাই এগিয়ে চলুন, ভাই আপনি নেতা হবেন, আমরা আপনার পেছনে আছি’ লেখা সংবলিত যত্রতত্র পোস্টারে ভরা। যত ধরনের তেলবাজি, পামপট্টি সব পোস্টারের মাধ্যমে করা হচ্ছে। নিচের দিকে লিখে রাখে সৌজন্যে অমুক। এসব সৌজন্যে অমুকদের বলতে চাই-এগুলো বন্ধ করুন। অন্যথায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো। এজন্য জেলও হবে, জরিমানাও হবে।

ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমরা সিটি করপোরেশন থেকে পোস্টার-ব্যানারে ভরা অসুন্দর পিলারগুলো দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। পিলারগুলোতে চিত্রকর্মের মাধ্যমে শিক্ষণীয় মেসেজ দেওয়া হবে। যেমন ‘হর্ন বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই, তিনদিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন, আসুন দেশকে ভালোবাসি।’

আরও পড়ুন>>> পরিত্যক্ত মার্কেটগুলো বন্ধে কঠোর হবে ডিএনসিসি: আতিক

মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন রিকশায় যারা পেইন্টিং কাজ করতেন তাদের যেন সম্পৃক্ত করি৷ তাই রিকশা পেইন্টিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিখ্যাত চিত্র শিল্পীদের এ গ্রাফিতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। মগবাজার ফ্লাইওভারে শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে বাকি ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিলারেও গ্রাফিতি করা হবে।

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমি এলাকাবাসী, কাউন্সিলর, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ সব জনগণকে অনুরোধ করছি, আপনারা এগিয়ে আসুন। সুন্দর পিলারগুলোতে পোস্টার লাগাবেন না। শহর রক্ষায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের গ্রাফিতি কার্যক্রম রয়েছে। আমরাও কিন্তু চাইলেই পারি। সবাই সচেতন হলে আমরা শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে পারবো।’

এসময় ফ্লাইওভারের পিলারের সৌন্দর্য রক্ষায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর ঘোষণাও দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ ন ম তরিকুল ইসলাম, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরদার, ৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মিতু আক্তার, ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার হেলেন ও ডিএনসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএমএ/এমআইএইচএস/এএসএম