ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টাকা পাচারের জবাবদিহি কে করবে? প্রশ্ন ফিরোজ রশীদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৪ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৩

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘টাকা পাচারের জবাবদিহি কে করবে? সংসদে সেই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, মন্ত্রী এখানে থাকেন না। কোন মন্ত্রীর কী দায়িত্ব সেটাও জানি না। কে কী কাজ করেন, কোনো জবাবদিহিতাও নেই। ব্যাংকের যেমন জবাবদিহিতা নেই, মন্ত্রীদেরও জবাবদিহিতা নেই।’

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ এসব কথা বলেন।

কোথাও জবাবদিহি না থাকলে দেশ কীভাবে চলবে-প্রশ্ন রেখে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হলে সেটা কীভাবে চলবে তা ঠিক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগ। তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। কেন জনগণের টাকা লুটপাট হচ্ছে, কে দায়ী এসবের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাউথ বাংলা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন এক হাজার কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছেন। তিনি পাচার করা অর্থে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও একাধিক বাড়ি কিনে বসবাস করছেন। তিনি একা এ কাজ করেননি। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত প্রত্যেক ব্যাংকে অডিট করে। এক হাজার কোটি টাকাতো এক দিনেই নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় কী করলো?’

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে জাতীয় পার্টি এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা কথা বলতে পারবো না। এখানে অর্থমন্ত্রী কখনো থাকেন না। তিনি কোনো কথাই শুনতে চান না।’

একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বা অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো প্রতিবাদ করেনি। তারা জানেন এক হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না। এখানে পাঁচ হাজার কোটি টাকা হলে তারা নড়েচড়ে বসে। ১০ হাজার কোটি টাকা হলে আরেকটু নড়েচড়ে বসে।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের টাকা নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। ব্যাংকগুলো পারিবারিক হয়ে গেছে। এগুলো জনগণের ব্যাংক নাই। আমরা টাকা রাখি ঠিকই। ব্যাংকের মালিকদের চাকর-বাকরদেরও কোনো অসুখ হলে সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক চলে যাবে চিকিৎসার জন্য।’

এর আগে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দেন ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। মন্ত্রীর বিবৃতির সমালোচনা করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, লম্বা-চওড়া বিবৃতি শোনালেন, তিনি নিজে দিনরাত পরিশ্রম করে আগুন নিভেয়েছেন। আসলে আগুন নিভেনি, আগুন আজও জ্বলছে।’

জাপা এমপি বলেন, ‘বিমান বাহিনী হেলিকপ্টারে পানি ছিটিয়েছে, পানি পড়তে পড়তে কিছু আর থাকে না। ওইটা অক্সিজেন হয়ে যায়। একটা দোকানদারও রক্ষা পায় নাই।’

মন্ত্রীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীরা একেক সময় একেক কথা বলেন। একটা সংবাদ পেলাম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় নির্বাচন করতে পারবেন না। তবে তিনি রাজনৈতিক চর্চা করতে পারবেন। আরেক মন্ত্রী বললেন তিনি (খালেদা জিয়া) শর্ত দিয়েছেন রাজনীতি করবেন না। আপনারা একেক সময় একেক আইনের ব্যাখ্যা দেন।’

অনির্ধারিত আলোচনায় জাতীয় পাটির আরেক সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মোকাবিলায় প্রস্তুতির অবস্থা খারাপ। বঙ্গবাজারে হাজার হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঢাকার ভেতর স্থাপনা অপরিকল্পিত, এখানে আগুন নেভানোর সুযোগ নেই।

এইচএস/এমআইএইচএস/জেআইএম