ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৩ মাস পরেই মতিঝিলে দেখা মিলবে স্বপ্নের মেট্রোরেলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ০৩ এপ্রিল ২০২৩

উত্তরা থেকে আগারগাঁও রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে মেট্রোরেল। অন্যদিকে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। প্রস্তুত উড়াল রেললাইন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ক্যাবল কিংবা দ্বিতীয় ধাপের সাতটি স্টেশন। এখন শুধু অপেক্ষা মেট্রোরেলের জন্য।

আরও পড়ুন> এক দশক অপেক্ষার পর স্বপ্নের মেট্রোরেল

যাত্রী ওঠানামার এক্সিট-এন্ট্রি আর ছোটখাটো কিছু কাজ বাদে দ্বিতীয় ধাপের স্টেশনগুলোতে গড়ে ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সরকারি বিতরণ সংস্থাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ পেলে আগামী জুলাইয়ে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হবে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ।

মেট্রোরেল লাইন-৬ এর উপ-প্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) নাজমুল ইসলাম ভুইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘জুলাই মাস থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করবে। হাতে সময়ও নেই। তবে পরীক্ষামূলকভাবে মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’

আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হওয়ার পর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এখন তবে মতিঝিল থেকে মেট্রোরেল চলাচল করবে।

আরও পড়ুন> জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত মেট্রোরেল, প্রথম দিনেই উপচেপড়া ভিড়

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পুরো ৮ কিলোমিটারের বেশি অংশের উড়ালপথ নির্মাণকাজ শেষ। এর ওপর বসে গেছে আসা যাওয়ার জন্য ১৬ দশমিক ১৯ কিলোমিটার ট্র্যাক রেললাইন।

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশে মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশনের ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করে যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি স্থাপন ও ১৩২ কেভি ক্যাবল লেইংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

আরও পড়ুন> উত্তরা থেকে আগারগাঁও: সব স্টেশনেই থামছে মেট্রোরেল

মেট্রোলাইনের এই অংশে মতিঝিলে নির্মিত ১৩২ কিলো ভোল্ট সাব-স্টেশন থেকে শক্তি জোগান আসবে। সাব-স্টেশন থেকে মেট্রোর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে উচ্চগতির ক্যাবল টানাসহ সব সরঞ্জাম বসানো হয়ে গেছে। এর আগে মেট্রোতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য রেল-ট্র্যাকের ওপর দিয়ে টানা আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ১৬ কিলোমিটারের বেশি অংশের ওসিএস ক্যাবল টানার কাজ শেষ হয়েছে।

সবমিলিয়ে ইলেকট্রিক্যাল আর মেকানিক্যাল অংশের ছোটখাটো ১০ শতাংশেরও কম কাজ বাকি। এসব কাজ তিন মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এমওএস/এসএনআর/জেআইএম