তিন টাকায় চাল, চার টাকায় ডাল মিলছে হ্যাপিনেস স্টোরে
তিন টাকায় পাওয়া যায় চাল। চার টাকায় ডাল। প্রায় এমন দামেই পাওয়া যাচ্ছে আটা, লবণ, চিনি, তেল, সুজি, মাছ, মাংস, সবজি, ক্রোকারিজ পণ্য, বাচ্চাদের পোশাক, খেলনা এবং স্টেশনারি পণ্য। দুই তলা বিশিষ্ট সুপারশপে বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রেতারা সে পণ্য কিনতে পারছেন এমন অবিশ্বাস্য দামে।
তবে এই সুপারস্টোরটি আর দশটি স্টোরের মতো নয়। এখানকার ক্রেতা হলেন সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ। যারা কখনো সুপারস্টোরে যাওয়ার কথা চিন্তা করতেও পারেন না।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সম্প্রতি চালু করেছে এই স্টোর যার নাম দেওয়া হয়েছে হ্যাপিনেস স্টোর। রাজধানীর মিরপুরে বর্ধিত পল্লবীর রূপনগর রোডে অবস্থিত বিদ্যানন্দের এই দোকান।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ প্রধান সালমান খান ইয়াছিন বলেন, বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে দেশের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়মিত সংবাদের শিরোনাম হয়। দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে সবকিছুর দাম। এছাড়া রমজানেও নতুন করে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে দরিদ্র মানুষকে নামমাত্র মূল্যে পণ্য দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন মতো বাছাই করে পণ্য নেওয়ার স্বাধীনতা দিতে বিদ্যানন্দের এই আয়োজন।
আরও পড়ুন: রমজানে ৩ লাখ মানুষকে ইফতার দেবে বিদ্যানন্দ
তিনি বলেন, সাধারণত দেখা যায় শহরের সব বড় বড় দোকানগুলোতে গরিব ও অসহায় মানুষরা কখনো প্রবেশাধিকার পায় না। সেখানে শুধু বিত্তবানদেরই আনাগোনা। ফলে দরিদ্র মানুষের মনে সুপারমার্কেটে কেনাকাটা করতে না পারার আক্ষেপ থেকেই যায়। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সে সুপারমার্কেটের ধারণাকে এবার ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে হ্যাপিনেস স্টোরে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন একেবারে বিনামূল্যে। তবে তাদের সে পণ্য দান করার চুক্তিতে দিতে হবে দরিদ্র মানুষের জন্য।
জানা গেছে, এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী ও করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সাড়া দিয়েছে বিদ্যানন্দের এই আয়োজনে। সে পণ্যগুলোও স্থান পেয়েছে বিদ্যানন্দের এই সুপারশপে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে খাবার গ্রহণের জন্য আলাদা ফুড জোন এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য কিডস জোনও আছে এই মার্কেটে।
বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মানুষ বাছাই করে প্রতি পরিবারকে মেম্বারশিপ কার্ড প্রদান করছে। সে কার্ড দেখিয়ে পরিবারগুলো এই মার্কেট থেকে পণ্য কিনতে পারবে। প্রতিদিন ১০০-১৫০ পরিবার পাবে এই পণ্য কেনার কার্ড। এছাড়া দূরের এলাকার মানুষের আসা যাওয়ার জন্য আলাদা বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখান থেকে প্রতিটি কার্ডধারী সর্বোচ্চ পঁচিশ টাকার পণ্য কিনতে পারবে যার বাজার মূল্যে প্রায় পাঁচশ টাকা।
এসএম/এমএইচআর/জিকেএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ বদিউল আলমের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
- ২ মতিঝিলে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
- ৩ দেশীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণে ৫ লাখ ডলার অনুদান দেবে মার্কিন দূতাবাস
- ৪ আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছে কিছু গণমাধ্যম
- ৫ মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে বাঁচাতে ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টা: এসপি