ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রোহিঙ্গা সংকট উদঘাটনে জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে ভূমিকা পালনের আহ্বান

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:০২ এএম, ২২ মার্চ ২০২৩

রোহিঙ্গা সংকটের কারণ উদ্ঘাটন ও মোকাবিলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হাইজারকে জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

নোলিন হাইজারকে রাখাইনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সব অংশীদারদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।

নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে বিশেষ দূতের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার (২২ মার্চ) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ মাতৃভূমিতে দ্রুত প্রত্যাবাসনে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ানসহ সব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থসামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা (যেমন, খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা) মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে গুরত্বারোপ করেন। তিনি বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন এবং তাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিনিময়ে বিশেষ দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

এমএএইচ/জেআইএম