ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যৌতুকের বলি বিচারপতির ভাতিজি, স্বামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৩৬ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় ফাতেমা নাসরিন (৪৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বিসিএস ক্যাডার মির্জা সাখাওয়াত হোসেনকে (৪৯) করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

ফাতেমা নাসরিনের এইচএসসি পড়ুয়া এক মেয়ে রয়েছে। এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভাতিজি বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিনগত রাত ১টার দিকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন ফাতেমার বড় বোন আরজিনা বেগম ও থানা পুলিশ।

আরজিনা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকে সাখাওয়াত বিভিন্ন সময় ফাতেমার কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থিত পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করে এক কোটি টাকা এনে দেওয়ার জন্য আমার ছোট বোনকে প্রায়ই চাপ দিতো সে। কিন্তু বাড়িটিতে আরও অংশীদার থাকায় বিক্রি করা যাবে না বলে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে সাখাওয়াত। সন্তান ও সংসারের কথা চিন্তা করে মুখ বুজে সব সহ্য করে আসছিল ফাতেমা।

তিনি আরও বলেন, দিন দিন সাখাওয়াতের নির্যাতন বেড়ে যাওয়া সহ্য না করতে পেরে গত জানুয়ারিতে পঞ্চগড় সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন ফাতেমা। ওই মামলায় সাখাওয়াত গ্রেফতারও হয়েছিল। পরে ঠিকভাবে সংসার করবে মর্মে জামিনে বেরিয়ে যৌতুকের টাকার জন্য ফের ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকেন।

সর্বশেষ নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ যৌতুকের টাকার জন্য সাখাওয়াত তার মোহাম্মদপুরের বাসায় ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকেন। এতে প্রতিবাদ করলে সাখাওয়াত ধারালো বঁটি দিয়ে হত্যাচেষ্টা করে এবং মসলা বাটার কাঠের বাটলা দিয়ে ফাতেমার মাথা থেঁতলে দেয়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তাৎক্ষণিকভাবে ফাতেমাকে উদ্ধার করে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার দুপুরে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে ফাতেমা নামে এক নারী চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে স্বামীর নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। ফাতেমার স্বামীকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

আরএসএম/এমএএইচ/এএসএম