ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভবনে বিস্ফোরণ

ঢামেক ও বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ১৩, তিনজন আশঙ্কাজনক

ঢামেক প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২৩

রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকার একটি তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অনেকেই। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

রোববার (৫ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরও পড়ুন: সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, নিহত ৩

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। আহতরা হলেন- মো. জাকির হোসেন জুয়েল (৩৫), মো. মেহেদী হাসান (২৫), মো. তাজউদ্দিন (৩০), মো. কবির হোসেন (৩২), রাবেয়া খাতুন (১৭), মো. নূরনবী (২৪), মো. কামাল হোসেন (৪০) ও অজ্ঞাতপরিচয় পুরুষ (৩২)। এ দুর্ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- মো. আকবর আলী (৫২), আশরাফুজ্জামান (৩৬), আশা আক্তার(২৫), জহুর আলী (৫২) ও মো. হাফিজুর রহমান (৪৫)।

আহত ও দগ্ধরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া আরও অনেকেই দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে দগ্ধ হয়ে বার্নে ছয় জন এসছেন। তাদের মধ্যে জহুর আলী ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও আশা আক্তারের ৩০ শতাংশ, আকবর আলীর ৩৭ শতাংশ, হাফিজুর রহমানের ৮ শতাংশ ও আশরাফুজ্জামানের শরীরের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নূরনবীর মাথায় আঘাত থাকার কারণে তাকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। দগ্ধদের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: সায়েন্সল্যাবে ভবনে বিস্ফোরণ, ধসে পড়লো দেওয়াল

এর আগে রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে ও আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সায়েন্সল্যাব এলাকার একটি তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ৭ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবাইকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কাজী আল-আমিন/কেএসআর/এমএস