কাশিমপুর কারাগারে সংশোধন প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার কমিশনের অসন্তোষ
তৃতীয় লিঙ্গের হাজতিদের জন্য পৃথক কারাগারের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। তা না হলে তাদের নিগ্রহের সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা থাকে বলে মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এছাড়া কারাগারে হাজতিদের জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতে ৭টি সুপারিশ করেছে কমিশন।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কাশিমপুর কারাগার পরিদর্শন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপ-পরিচালক এম রবিউল ইসলাম কারাগারে উপস্থিত ছিলেন।
তারা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন করে সুপারিশগুলো করে।
এর মধ্যে রয়েছে- কারাগারে ডাক্তার ও সাইকোলজিস্টের সংকট দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, কারাগারে থাকার ব্যবস্থা আরও পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর করা, তৃতীয় লিঙ্গের হাজতিদের জন্য পৃথক কারা ব্যবস্থা করা।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির সঙ্গে মামলার বাদীর বিয়ে
সুপারিশে বলা হয়, গাজীপুরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোনো প্রিজন সেল নেই। গুরুতর অসুস্থ বন্দিদের ঢাকায় পাঠাতে হয়। এতে পথে অনেকে মৃত্যুবরণ করে। সেই হাসপাতালে প্রিজন সেল করা প্রয়োজন। কারাগারটি সংশোধনাগারে রূপান্তরের প্রক্রিয়া সন্তোষজনক নয়। এ লক্ষ্যে কারাগারকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।
এছাড়া কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য কারা একাডেমি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে কমিশন। মহিলা কারাগার পরিদর্শনকালে জানা যায়, অধিকাংশ নারী বন্দি মাদক মামলার আসামি, যা উদ্বেগজনক। মাদক সেবন, পাচার ও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে মনে করে কমিশন।
কারাগারের অভ্যন্তরে মাদকের সরবরাহ রোধে দ্রুত কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে।
এসএম/এমএইচআর/জেআইএম