ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্বামীকে হত্যার ১০ বছর পর স্ত্রী গ্রেফতার, পরিচয় গোপন করে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

২০১২ সালে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে স্বামী মো. মহসিনকে বাসায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর গোপনাঙ্গ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে স্ত্রী মোছা. সালেহা খাতুন (শিউলী)। হত্যা মামলায় পল্লবী থানার পলাতক আসামি হলেও দুই বছর আগে একই থানায় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এসিড নিক্ষেপের অন্য একটি মামলা করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পল্লবী থানার বারনটেক এলাকা থেকে শিউলীকে গ্রেফতার করা হয়।

উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ২০১২ সালে মোছা. সালেহা খাতুন (শিউলী) ওরফে মোছা. সালেহা খাতুন শিউলী ওরফে মোছা. শিলা (৪৯) পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে তার স্বামী মো. মহসিনকে বাসার মধ্যে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার গোপনাঙ্গ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

তিনি বলেন, নিহতের ভাই মজনু মিয়া পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামির বিচার শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন। মোছা. সালেহা খাতুন বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ পাঁচ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।

‘বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পল্লবী থানার একটি বিশেষ অভিযানে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোছা. সালেহা খাতুনকে (শিউলী) বারনটেক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। থানা-পুলিশ দীর্ঘ দুই মাস তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় আসামি নিজেকে মোছা. শিলা বলে পরিচয় দেন। পরে সফটওয়্যারের মাধ্যমে আসামির ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার প্রকৃত নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা হয়।

এছাড়া আসামি তার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে ঢাকার বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সময়ে মামলা, জিডিও করেছে বলেও জানান তিনি। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরএসএম/এমআরএম/জিকেএস