ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা
দুই বছর পর সশরীরে শহীদ মিনারে যাবেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী
এবছর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সশীরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা মহামারির কারণে গত দুবছর সশরীরে শহীদ মিনারে যাননি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শহীদ মিনারে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন>>দল ও দেশের জন্য নিবেদিত ছিলেন মোছলেম উদ্দিন: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সভা শেষে সিদ্ধান্ত তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবছর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাদের আগমন, অবস্থান ও প্রত্যাগমনের সময় যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করা হবে।
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেন নির্বিঘ্নে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারেন, সেজন্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রস্থানের পর ৩০ মিনিট বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হবে। বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিরাও যাতে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন>>ভাষার মাসের প্রথম দিনে সুপ্রিম কোর্টে ১৪৯ রায় ও আদেশ বাংলায়
একই সঙ্গে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎসংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়ে নিয়ে আসা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভিডিও সার্ভিলেন্সের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার স্থানসহ প্রয়োজনীয় এলাকায় সিসিটিভি, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও আর্চওয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন>>নেই সীমানা প্রাচীর, অরক্ষিত নলছিটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর এবং আজিমপুর কবরস্থান এলাকায় অতিরিক্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে অপ্রতিকর অবস্থা রোধ করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি ব্যবস্থা নেবে। আগেই ট্রাফিক রোডম্যাপ মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হবে। ঢাকা মহানগরের বাইরের অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকা, বিভাগীয় এলাকা, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতেও সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরএমএম/ইএ/এমএস