ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাঁচতে চান লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হৃদয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

নড়াইল সরকারি টেকনিক্যাল কলেজের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী মো. হৃদয় খান দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস (লিভারের জটিল অসুখ) রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহায় অবস্থায় বেঁচে আছেন। কলেজের জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় প্রায় চার বছর ধরে এ রোগের সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। সাড়ে চার বছর আগে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে দুনিয়া মায়া ত্যাগ করেছেন তার জন্মদাত্রী মা।

আরও পড়ুন>> অসহায় রিনি বাঁচতে চায়

জানা যায়— হৃদয় বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমানে লিভার, গ্যাস্ট্রিক কোলোরেক্টাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. সহিদুর রহমানের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখান থেকে তাকে জানানো হয়েছে, তার লিভার প্রায় সম্পূর্ণ অকেজো হওয়ার পথে। সাধারণ চিকিৎসায় এটা আরোগ্য হওয়া সম্ভব নয়। যদি কেউ হৃদয়কে লিভারদান করে, কিংবা কোনো মরদেহ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর লিভার সংগ্রহ করে হৃদয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়, তাহলেই কেবল তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে।

বাঁচতে চান লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হৃদয়

আরও পড়ুন>> ১১ বছর মায়োপ্যাথি রোগে ভুগছেন মামুন, টাকার অভাবে বন্ধ চিকিৎসা

এক্ষেত্রে যার শরীর থেকে লিভার নেওয়া হবে তার রক্তের গ্রুপ হৃদয়ের রক্তের গ্রুপের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ (ও নেগেটিভ) হতে হবে। সেক্ষেত্রে লিভার (নির্দিষ্ট অংশ) দানকারীর ব্যবস্থা হলেও, ব্যবস্থা হয়নি অর্থের। দাতার শরীর থেকে এ লিভার হৃদয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করতে হলে দুজনকে যেতে হবে ভারতে। কেননা, দেশে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। আর ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করতে ব্যয় হবে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা। অথচ, অসহায় হৃদয়ের বাঁচার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই এত টাকা ব্যয় করার।

এর আগে হৃদয় যশোর, খুলনা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত সরকারি সাহায্য হিসেবে ২০২০ সালে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। আর, এতদিনে চিকিৎসার বাকি টাকা এসেছে মানুষের সহায়তা থেকে।

বাঁচতে চান লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হৃদয়

আরও পড়ুন>> রোজিনা বেগমের কেউ নেই, দাবি শুধু একটি সরকারি ঘরের

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে— মা হারানো হৃদয়ের চিকিৎসার খরচ দেন না তার বাবা। নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। হৃদয় বলেন, এ পৃথিবীতে সবাই তো বাঁচতে চায়। আমিও বাঁচতে চাই। কিন্তু আমার নেই বাসস্থান, নেই অর্থ, নেই চিকিৎসা করার ক্ষমতা। একজন লিভার দান করতে চেয়েছেন, কিন্তু লিভার প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় বহন করে সুস্থ জীবনে ফিরে আসা আমার কাছে আকাশ-কুসুম কল্পনা মাত্র! তাইতো আমি দেশবাসীর সহায়তা চাই। বিশেষত কোনো উচ্চবিত্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমাকে সহায়তা করেন তাহলে হয়তো আমার জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা যাবে।’

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশে এসেও মানবতা দেখালেন মানবিক ইবিত লিও

লিভার প্রতিস্থাপন বিষয়ে লিভার গ্যাস্ট্রিক কোলোরেক্টাল স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুর রহমান জানান, ‘একজন সুস্থ মানুষ চাইলে লিভারের কিছু অংশ দান করতে পারেন। এর ফলে বেঁচে যাবে একজনের প্রাণ। আর, তিন সপ্তাহের মধ্যে লিভার দান করা ব্যক্তির লিভারও আগের মতো স্বাভাবিক আকারে ফিরে যাবে।’

জেএ/এমএএইচ/জেআইএম