বেতন-ভাতা-ফৌজদারি অপরাধে স্বশাসিত সংস্থাকে সমান সুবিধা দিতে বিল
স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য একই বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) বিল- ২০২৩ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। একই সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত-দণ্ডিত কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও অবসর সুবিধার ক্ষেত্রে সমান সুবিধা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে সংসদে উত্থাপিত বিলে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের সংশোধনীতে বিদ্যমান আইনের ধারা ১ এর (গ) উপধারার (৪) এর পর নতুন উপধারা (৪ক) সন্নিবেশিত হয়। এতে বলা হয়, ‘৪(ক) উপধারা (৪) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এই আইনের ধারা ১৫, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ এর বিধানসমূহ স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।’
এছাড়া বিদ্যমান আইনের ৪৮ ও ৫০ ধারায় সংখ্যাগত পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত আইনের যেসব ধারায় সংশোধন আনা হয়েছে, এর মধ্যে ১৫ ধারায় বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ, ৪১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত কর্মচারীর ব্যবস্থাদি, ৪২ ধারায় ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা, ৪৪ ধারায় ঐচ্ছিক অবসর গ্রহণ, ৪৫ ধারায় সরকার কর্তৃক অবসর প্রদান, ৫০ ধারায় অবসর সুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে বিববরণ রয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ বিষয়ে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর সরকারি চাকরি আইন- ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়। পরে ওই বছরের ১৪ নভেম্বর আইনটি সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু অর্থ বিভাগ সরকারি চাকরি আইন-২০১৮তে স্বশাসিত সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের করণীয় স্পষ্ট নয় মর্মে বেতন-ভাতা নির্ধারণ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন প্রয়োজন মতামত ব্যক্ত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি কার্যকর করার পর যেসব বিষয় সংশোধন প্রয়োজন তা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে। পরে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে সরকারি চাকরি আইন- ২০১৮ এর সংশোধনীর প্রস্তাবে সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন- ২০২৩ শীর্ষক বিলটি প্রণয়ন করা হয়।
এইচএস/কেএসআর/এমএস