ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেদের লোক খুন, দেড় মাস পর গ্রেফতার ২

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৩

ভোলার দুলারহাটে জমির মালিকানা নিয়ে দুটি গ্রপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একটি পক্ষ নিজেদের মধ্যকার এক নারীকে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার দেড় মাস পর দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-৪।

র‌্যাব জানায়, র‌্যাব-৪ এর একটি দল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর এবং ফকিরাপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভোলা জেলার দুলারহাট থানার চাঞ্চল্যকর বকুল বেগম হত্যার পরিকল্পনাকারী মো. সেলিম (৪২) এবং সহযোগী মো. রফিককে (৪০) গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন >> গাইবান্ধায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবাকে হত্যা

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণ থেকে র‌্যাব জানায়, দুলারহাট থানাধীন শিকদার চরে জমির মালিকানা নিয়ে সেলিম গ্রুপ ও আসলাম গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। নিহত বকুল বেগমের স্বামী বাচ্চু সেলিম গ্রুপের অনুসারী। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আসলাম গ্রুপকে ফাঁসানোর জন্য বকুল বেগমকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন সেলিম গ্রুপের লোকজন। ঘটনার দিন গত ২৯ নভেম্বর বিকেলের দিকে সেলিম ভোলা সদর কোর্টে মামলার হাজিরা দেওয়ার কথা বলে বকুল বেগমের স্বামী বাচ্চুকে ভোলা সদরে পাঠিয়ে দেন। সেই সুযোগে বকুল বেগমকে হত্যার জন্য অন্যান্য সদস্যদের একত্রিত করেন তিনি।

আরও পড়ুন >> অস্ত্র রেখে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ফাঁসলেন নিজেই

র‌্যাব জানায়, ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে শিকদার চরে বকুল বেগমের বাসায় যান তারা। সেময় রফিক নামের একজন বাইরে পাহারা দেন এবং অন্যান্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বসতঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে বকুল বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করে। এ ঘটনায় প্রতিবেশি অলিল চৌকিদার বাদী হয়ে ভোলা জেলার দুলারহাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন >> প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শ্যালিকার শিশু সন্তানকে হত্যা

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা বকুল বেগম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও র‌্যাব জানায়।

আরএসএম/ইএ/জেআইএম