চট্টগ্রামে ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
প্রাইভেটকারে চড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টা এবং দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর টাইগারপাস সংলগ্ন পলোগ্রাউন্ড যুব সংঘ ক্লাবের সামনের রাস্তা এবং চান্দগাঁও থানাধীন মোহরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে তাদের চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর।
আরও পড়ুন: চুরি করতে গিয়ে সহযোগীসহ আটক শ্রমিক লীগ নেতা
গ্রেফতাররা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন পুঁইছড়ি প্রেমবাজার মলার পাড়া গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (২১), রাঙ্গুনিয়া থানাধীন কোদালা ইউনিয়নের ফজল মেম্বারের বাড়ির নুরে আলমের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৪), কক্সবাজারের চকরিয়ার মাইজপাড়া বেতুয়া বাজার এলাকার মো. হানিফের ছেলে মো. ফরহাদ ওরফে দিদার (২৪), চট্টগ্রামের হাটহাজারির বুড়িশ্চর নজু মিয়া হাট এলাকার মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. আসিফ হোসেন (২১) এবং কুয়াইশ কলেজ কালা কাজীল বাড়ি এলাকার মো. নাছের উদ্দিনের ছেলে মাহফুজুর রহমান ওরফে আদনান (২৩)।
এসময় তাদের কাছ থেকে রামদা, ধারালো টিপ ছোরা, স্কু ড্রাইভার, ছিনতাই করা মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তাদের ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও জব্দ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শহরে চুরি ছিনতাই বেড়েছে
ওসি জাহিদুল কবীর জাগো নিউজকে জানান, চক্রটি প্রাইভেটকার কিংবা সিএনজি অটোরিকশায় ঘুরে ঘুরে পথচারী ও গাড়ি থেকে নামা যাত্রীদের ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে পালিয়ে যেতো। তারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ও নির্জন এলাকায় ডাকাতি সংগঠিত করে। এর আগেও নগরের হালিশহর, ডবলমুরিং, আকবরশাহ ও লালদিঘীর পাড় এলাকায় ছিনতাই করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা যে প্রাইভেটকারটিতে ঘুরে ডাকাতি করে সেখানে কাগজে প্রিন্ট করা আরও দুটি গাড়ির নম্বর প্লেট রেখেছে। তাদের ব্যবহৃত গাড়িতে নম্বর প্লেটগুলো পাল্টিয়ে ব্যবহার করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতো।
ওসি বলেন, গ্রেফতারদের মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করবো। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো চক্রটি চিহ্নিত করা হবে।
ইকবাল হোসেন/এমকেআর/এমএস