ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

খাসজমি দখল করলে কারাদণ্ড-জরিমানার বিধান রেখে সংসদে বিল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩

হাট ও বাজারের সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে দখল বা কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রেখে সংসদে একটি বিল উত্থাপিত হয়েছে।

‘হাট ও বাজার (স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০২৩’ নামে বিলটি উত্থাপিত হয়। অর্থদণ্ড আরোপের ক্ষেত্রে বিলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ফলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ অনুচ্ছেদের বাইরে গিয়ে তিনি অর্থদণ্ড আরোপ করতে পারবেন।

রোববার (৮ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

বিলের বিধান লঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তি হাট ও বাজারের সরকারি খাসজমি অবৈধভাবে দখলে রাখলে বা খাসজমির ওপর কোনো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে।

কালেক্টর বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো উপযুক্ত কর্মকর্তা ওই জমি হতে দখলদার ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করে জমির দখল হাট ও বাজারের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুকূলে বুঝিয়ে দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার বৃদ্ধি করে বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৫৯নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট কর্তৃক বিচার্য হবে। বিলে এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করার বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাট ও বাজার স্থাপন এবং ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাসহ গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে ১৯৫৯ সালে প্রণীত অধ্যাদেশ রহিত করে বাংলা ভাষায় নতুন বিলটি আনা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং স্টেকহোল্ডারদের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

এছাড়া ২০১৬ প্রণীত বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (সংশোধন) আইন ২০২৩ শনিবার সংসদে উত্থাপন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এইচএস/এএএইচ/জেআইএম