ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২৭ কর্মকর্তা জড়িত : সংসদে অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৫৩ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ২৭ কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন। এছাড়া ৫৬টি প্রতিষ্ঠানও এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিল।
 
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদে সিলেট-৫ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি জানান, বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজেদুর রহমান, কাজী ফখরুল ইসলাম, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মঞ্জুর মোরশেদ, উপ-মহাব্যবস্থপনা পরিচালক ফজলুস সোবহান, কনক কুমার পুরকায়স্থ, সাময়িক বরখাস্তকৃত উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ মোনায়েম খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সেলিম, মহাব্যবস্থাপক জয়নুল আবেদীন চৌধুরী, মো. মোজাম্মেল হোসেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শামীম হাসান, মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান, গোলাম ফারুক খান, চাকরিচ্যুত মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক কোরবান আলী, উপ-মহাব্যবস্থাপক ওমর ফারুক, চাকরিচ্যুত উপ-মহাব্যবস্থাপক শিপার আহমেদ, সাময়িক বরখাস্তকৃত উপ-মহাব্যবস্থাপক এস এম ওয়ালিউল্লাহ, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জহির উদ্দিন, মো. ইমরুল ইসলাম, আবদুস সবুর, আবদুস সাত্তার খান, পলাশ দাশ গুপ্ত, ইকরামুল বারী, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক সরোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক মো. মুহিবুল হক, চাকরিচ্যুত উপ-ব্যবস্থাপক এসএম জাহিদ হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক এনএ তোফিকুল আলম।  
 
এছাড়া আজাদ ট্রেডিং ভাসাবি ফ্যাশান লি., তাহমিনা ডেনিম লি., লাইফ স্টাইল ফ্যাশন মেকার লি., ইউকে বাংলা ট্রেডিং লিমিটেডসহ ৫৬টি প্রতিষ্ঠান বহুল আলোচিত এই ঋণ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে মন্ত্রী জানান।

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ২০১৪ সালের ৬ জুলাই ব্যাংকের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে একজন অভিজ্ঞ ব্যাংকারকে চেয়ারম্যান করে নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দেয় অর্থমন্ত্রণালয়।

কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অপরাধে ২০১৪ সালের ২৫ মে বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিভিন্ন থানায় ৫৬টি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান, আটটি সার্ভেয়ার প্রতিষ্ঠানের ১১ জন মালিক/কর্মকর্তা এবং ২৭ জন ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করেছে। মামলাগুলো বর্তমানে তদন্তনাধীন রয়েছে।

এইচএস/এনএফ/আরআইপি