আমরা ভালোভাবেই করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী
আমরা খুব ভালোভাবেই করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে পেরেছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এক গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছিল। কিন্তু আপনাদের সহায়তায় এবং আমাদের সরকারের সময়মতো উদ্যোগ গ্রহণের ফলে আমরা খুব ভালোভাবেই সেই মহামারি মোকাবিলা করতে পেরেছি। টিকা পাওয়ার যোগ্য শতভাগ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় ২৮টি প্যাকেজের আওতায় এক লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি। পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৫০ লাখ প্রান্তিক মানুষকে দুই দফায় আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময় প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মানুষ নানাভাবে উপকৃত হয়েছেন। এ সময় প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৭টি।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পশ্চিমা দেশগুলোর এবং রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি অবরোধের ফলে খাদ্য, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে পরিবহন খরচ। ফলে আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। আমরা কয়েকটি পণ্য বেশি দামে কিনে স্বল্পদামে সীমিত আয়ের মানুষের মধ্যে বিতরণ করছি।
তিনি বলেন, এক কোটি পরিবার টিসিবির নায্যমূল্যের কার্ডের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্যতেল, ডাল ও চিনি কিনতে পারছে। ৫০ লাখ পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল কিনতে পারছে। অসহায় মানুষদের ভিজিডি ও ভিজিএফ-এর মাধ্যমে ৩০ কেজি করে চাল প্রতিমাসে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তৃতীয় লিঙ্গ, বেদে, মান্তা, দলিত, হরিজন, কুষ্ঠরোগীসহ সব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মানুষের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
এসইউজে/কেএসআর/এএসএম