ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভারত-বাংলাদেশের ভাষা-সংস্কৃতিভিত্তিক সাদৃশ্য উল্লেখযোগ্য: স্পিকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের মানুষের ভাষা-সংস্কৃতিভিত্তিক সাদৃশ্য উল্লেখযোগ্য।

রোববার ( ১১ ডিসেম্বর) স্পিকারের সংসদ ভবন কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তারা বাংলাদেশ-ভারত সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

শিরীন শারমিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও আদর্শিক নেতৃত্বই দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ভিত স্থাপন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় ও সব রকম সহযোগিতা দেয় ভারত, যা এদেশের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা চুক্তি ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন, আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের পারস্পরিক সহযোগিতা দুদেশের সম্পর্ককে জোরদার করবে।

এসময় বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট মোকাবিলা ও রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতা চান স্পিকার।

স্পিকার বলেন, সাধারণ নদী অববাহিকাসহ আরও অনেক সাধারণ বিষয় দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান। সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোসহ সমগ্র ভারতের সঙ্গে রেলওয়ে ও অন্যান্য মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দ্বারা উভয় দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার অগ্রগতি সম্ভব। সম্প্রতি আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পরিদর্শন ও মতবিনিময় করেন, যা ভারত-বাংলাদেশ সুদীর্ঘ সম্পর্ককে জোরদার করেছে। এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে ভারত লোকসভার স্পিকার ওম বিরলাসহ অন্যান্যদের আমন্ত্রণের আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ। দুদেশের সাংস্কৃতিক ভিত একই। সংসদীয় প্রতিনিধিদলের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের মাধ্যমে দুদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হতে পারে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো ভারত-বাংলাদেশ যৌথভাবে মোকাবিলা করতে পারলে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।

এইচএস/আরএডি/জিকেএস